বাসস
  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫৪

বিপিএলে জাতীয় দলের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান তানজিদের

বিপিএলে জাতীয় দলের ব্যাটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রান তানজিদ হাসান তামিমের -ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ (বাসস) : আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হতে যাওয়া আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রস্তুতির সেরা মঞ্চ ছিলো সদ্য শেষ হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট।

এবারের বিপিএলের রান উৎসব দেখা গেছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে থাকা বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাটারই ভাল পারফরমেন্স করেছেন। এরমধ্যে রান বিবেচনায় সবার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। 

১২ ম্যাচে ৪৪ দশমিক গড় এবং ১৪১ দশমিক উনচল্লিশ স্ট্রাইক রেটে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮৫ রান করেন তানজিদ। তিনি একটি সেঞ্চুরি ও  চার সেঞ্চুরি করেছেন। ছক্কা মেরেছেন ৩৬টি। বিপিএলের এক আসরে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড গড়েছেন তানজিদ। এর আগের রেকর্ড ছিলো তাওহিদ হৃদয়ের। ২০২৩ সালে ২৪টি ছক্কা মেরেছিলেন হৃদয়।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তানজিদের সাথে ওপেনার হিসেবে খেলতে পারেন বাঁ-হাতি সৌম্য সরকার। ইনজুরির কারণে বিপিএলের শুরু থেকে খেলতে পারেননি তিনি। চার ম্যাচে ১০৫ রান করেন সৌম্য। এরমধ্যে সর্বোচ্চ ৭৪ রানের ইনিংস ছিলো তার। 

লিটন দাসকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশ দলে ব্যাকআপ ওপেনার হিসাবে সুযোগ পেয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন। ব্যাট হাতে প্রয়োজনের মুহুর্তে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন তিনি। বরিশালের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে যথাক্রমে  ৭৫ এবং ৩৬ রান এবং ফাইনালে ৪৯ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলেন ইমন। পুরো টুর্নামেন্টে  করেছেন  ৩৩৮ রান। 

দলের কোন কোন খেলোয়ড়কে নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ থাকলেও সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দেবেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল দলে থাকলেও নিয়মিত খেলতে পারেননি শান্ত। বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল বলেছেন, ‘পারফরমেন্সে জন্য নয়, কম্বিনেশনের কারণেই সব ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি শান্ত।’

তামিম তার পারফরমেন্স নিয়ে দোষারোপ না করলেও সুযোগ পাওয়া ম্যাচগুলোতে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি শান্ত। মাত্র ৫ ম্যাচ খেলে ৫৬ রান করেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার। ৫৬ রানের মধ্যে একটি ম্যাচে ৪১ রান করেছেন তিনি। বাকী চার ম্যাচে মাত্র ১৬ রান করেন শান্ত। 

যদিও বিপিএল থেকে ভিন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফরম্যাট। তারপরও শান্তর ফর্ম চিন্তার বিষয়। তবে বিপিএল চলাকালীনও জাতীয় দলের কিছু খেলোয়াড়ের সাথে অনুশীলন করতে দেখা গেছে শান্তকে।

টপ অর্ডারে অন্যান্য ব্যাটারদের মধ্যে ১২ ইনিংসে ২৫ দশকি ৪৫ গড় এবং ১৩২ দশমিক ০৭ স্ট্রাইক রেটে ২৮০ রান করেছেন তাওহিদ হৃদয়। পুরো টুর্নামেন্ট ব্যাট হাতে ছন্দে না থাকলেও প্রথম কোয়ালিফাইয়ার ম্যাচে চট্টগ্রাম কিংসের বিপক্ষে ৫৬ বলে ৮২ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন হৃদয়। 

বাংলাদেশ দলের মিডল অর্ডার সামলাবেন দুই অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। বিপিএলে মুশি ৯ ইনিংসে ১৮৪ রান এবং মাহমুদুল্লাহ ৮ ইনিংসে ২০৬ রান করেন। 

সিলেট স্ট্রাইকার্সের জার্সি গায়ে ১২ ইনিংসে ২৪ দশমিক ১০ গড় এবং ১২৭ দশমিক ৫১ স্ট্রাইক রেটে ২৪১ রান করেছেন জাকের আলি। কোন অর্ধশতক করতে না পারলেও মিডল অর্ডারে ছোট ছোট ইনিংসে কার্যকর অবদান রাখা জাকেরের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিলো অপরাজিত ৪৭।

টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন খুলনা টাইগার্স অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। ১৪ ইনিংসে ২৭ দশমিক ৩০ গড়ে ৩৫৫ রান করেন তিনি। তার স্ট্রাইক রেট ছিলো ১৩২ দশমিক ৯৫। বোলিংয়ে ৭ দশমিক ৭১ ইকোনমি রেটে ১৩ উইকেট নেন মিরাজ। উইকেট শিকারীদের মধ্যে দশমস্থানে ছিলেন তিনি। খুলনা টাইগার্সের প্লে-অফে জায়গা করে নেওয়ার পেছনে বড় অবদান রাখেন মিরাজ।