শিরোনাম
ঢাকা, ৯ মার্চ, ২০২৫ (বাসস) : আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরের ফাইনালে ভারতকে জয়ের জন্য ২৫২ রানের টার্গেট দিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
দুই ব্যাটার ড্যারিল মিচেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫১ রান করে নিউজিল্যান্ড। মিচেল ৬৩ রানে আউট হলেও ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন ব্রেসওয়েল।
আজ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডকে ৪৭ বলে ৫৭ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার উইল ইয়ং ও রাচিন রবীন্দ্র। সাবধানে খেলা ইয়ংকে ১৫ রানে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী।
কিছুক্ষন পর সাজঘরে ফিরেন দু’বার জীবন পাওয়া রাচিন। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৯ বলে ৩৭ রান করে স্পিনার কুলদীপ যাদবের বলে বোল্ড হন রাচিন।
ব্যাট হাতে ছন্দে থাকা কেন উইলিয়ামসনকে ১১ রানে থামিয়ে নিউজিল্যান্ডকে চাপে ফেলেন কুলদীপ। ৭৫ রানে ৩ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
জুটি গড়ার চেষ্টায় চতুর্থ উইকেটে ধীরলয়ে খেলতে থাকেন দুই মিডল অর্ডার ব্যাটার ড্যারিল মিচেল ও টম ল্যাথাম। ৬৬ বলে এই জুটির ৩৩ রানে নিউজিল্যান্ড ১’শ রান পার করে। ৩০ বলে ১৪ রান করা ল্যাথামকে লেগ বিফোর করে জুটি ভাঙ্গেন রবীন্দ্র জাদেজা।
এরপর পঞ্চম উইকেটে হাফ-সেঞ্চুরির জুটিতে নিউজিল্যান্ডকে লড়াইয়ে ফেরান গ্লেন ফিলিপস ও মিচেল। দলীয় ১৬৫ রানে ফিলিপসকে শিকার করে ভারতকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন বরুণ। ফিলিপস-মিচেল জুটি ৮৭ বলে ৫৭ রান যোগ করেন।
ফিলিপস ফেরার পর মাইকেল ব্রেসওয়েলকে নিয়ে দলের রান ২’শ পার করেন ৩৮ রানে জীবন পাওয়া মিচেল। দু’জনের জুটিতে ৪৭ বলে ৪৬ রান পায় দল। এসময় ৯১ বলে ওয়ানডেতে অষ্টম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন মিচেল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে দ্বিতীয় ধীর গতির হাফ-সেঞ্চুরি এটি।
হাফ-সেঞ্চুরির পর রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন মিচেল। কিন্তু ৪৬তম ওভারে পেসার মোহাম্মদ সামির বলে আউট হন তিনি। ৩টি চারে ১০১ বলে ৬৩ রান করেন মিচেল।
দলীয় ২১১ রানে মিচেল ফেরার পর নিউজিল্যান্ডের রানের চাকা ঘুুড়িয়েছেন ব্রেসওয়েল। ইনিংসের শেষ পর্যন্ত খেলে নিউজিল্যান্ডকে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫১ রানের সংগ্রহ এনে দেন ব্রেসওয়েল। ৩৯ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৪০ বল খেলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন ব্রেসওয়েল।
ভারতের বরুণ-কুলদীপ ২টি করে এবং সামি-জাদেজা ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।