শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ এপ্রিল ২০২৫ (বাসস) : বার্সেলোনার তরুন তুর্কি লামিন ইয়ামাল বলেছেন তিনি নিজের মত করে থাকার উপর বেশী গুরুত্ব দেন। একইসাথে তিনি আরো বলেছেন লিওনেল মেসির সাথে নিজেকে কখনই তুলনা করেননা। বুধবার ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের ম্যাচকে সামনে রেখে ইয়ামাল এ মন্তব্য করেছেন।
১৭ বছর বয়সী এই টিনএজার বার্সেলোনার আক্রমণভাগের ডানদিকে নিজেকে অনবদ্য হিসেবে প্রমান করেছেন। এই পজিশনেই বার্সেলোনার সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা মেসি দীর্ঘ সময় ধরে আধিপত্য দেখিয়েছেন। উভয় খেলোয়াড়ই বার্সেলোনার ইয়ুথ একাডেমি থেকে উঠে এসেছেন।
২০১৫ সালে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলেছিল বার্সেলোনা। ঐ আসরে মেসি বার্সার আক্রমনভাগের নেতৃত্বে চিলেন। এবার কাতালান জায়ান্টদের হয়ে সেই ভূমিকা পালন করতে চান ইয়ামাল।
এ প্রসঙ্গে ইয়ামাল বলেছেন, ‘আমি তার সাথে নিজেকে তুলনা করছিনা। কারন আমি কারো সাথে নিজেকে তুলনা করিনা। আর মেসির সাথে তো প্রশ্নই আসেনা। আমরা প্রত্যেকেই প্রতিদিনিই নিজেদের উন্নতির চিন্তা করি। আগামী দিন কিভাবে আরো ভাল খেলা যায় সেই চিন্তা করি। সে কারনে আমার মনে হয় মেসি বা অন্য কারো সাথে
এখানে তুলনার কোন অর্থ নেই। আমি নিজের মধ্যে থেকে শুধুমাত্র ফুটবলকে উপভোগ করতে চাই।’
ইয়ামাল আরো বলেছেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে তিনি সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসেবেই চিন্তা করেন, ‘আমি অবশ্যই তার প্রশংসা করি, তার খেলা ভালবাসি। ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে তাকে পছন্দ না করে উপায় নেই। কিন্তু তার সাথে নিজেকে তুলনা করিনা।’
আগামীকাল অলিম্পিক স্টেডিয়ামে ইন্টার মিলানের বিরুদ্ধে ইয়ামাল যদি খেলতে নামেন তবে বার্সেলোনার জার্সিতে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এটি হবে তার শততম ম্যাচ।
কোপা ডেল রে’র ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ৩-২ গোলের জয়ের ম্যাচটিতে ইয়ামাল দুটি এ্যাসিস্ট করেছেন। এই শিরোপা জয়ে বার্সেলোনা সম্ভাব্য কোয়াড্রাপল জয়ের ক্ষেত্রে আরো একধাপ এগিয়ে গেছে।
ইয়ামাল বলেন, ‘এটা আমার এবং এই দলের অনেকের জন্যই প্রথম ইউরোপীয়ান সেমিফাইনাল। স্বাভাবিক ভাবেই আমি বেশ উত্তেজিত। আমি মোটেই ভয় পাচ্ছিনা। ভয়কে আমি অনেক আগেই মাতারো পার্কে (ইয়ামালের বাড়ি) রেখে এসেছি। কিন্তু এই ম্যাচকে সামনে রেখে উদ্দীপনা খুঁজে পাচ্ছি। খেলোয়াড়দের মধ্যে অন্য ধরনের এক অনুভূতি কাজ করছে।
এদিকে বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক বলেছেন কোপা ডেল রে’র ফাইনালে মাদ্রিদকে হারানোর পর আত্মবিশ্বাসের জায়গাটা অনেক বড় হয়েছে। রিয়ালের বিপক্ষে খেলোয়াড়রা যেভাবে মনোযোগী হয়ে খেলেছে সেটাই এই ম্যাচে কাজে আসবে। এই মুহূর্তে এই ইতিবাচক মনোভাবটা প্রয়োজন ছিল।
ফ্লিক বলেন, আমরা জানি ফাইনালে যেতে হলে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। ইন্টারও ফাইনালে খেলার জন্য শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করবে।
দীর্ঘ ইনজুরি কাটিয়ে মার্ক-আন্দ্রে টার স্টেগান ফিটনেস ফিরে পেলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ওজিচে সিজিসনিই বার্সেলোনার গোলবার সামলাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন ফ্লিক।
ইন্টার মিলান টানা তিন ম্যাচে পরাজিত হয়েছে, এর মধ্যে রয়েছে ইতালিয়ান কাপে এসি মিলানের কাছে পরাজয়। যে কারনে ঘরোয়া কাপ থেকে তাদের বিদায়ও ঘটেছে।