শিরোনাম
ঢাকা, ৩ জানুয়ারি ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ(বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আসন্ন আসরে দলের ‘ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়দের’ মাধ্যমে চমক দেখাতে চায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
গত বিপিএলে মাঝারি আকারের দল নিয়ে দারুন পারফরমেন্স দেখিয়েছে চট্টগ্রাম। এবার দলে তারকা খেলোয়াড় নেই। তারপরও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দলে বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আছে যারা টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে পারেন এবং এই মৌসুমে তারাই দলের ভরসা হবেন।
সরাসরি চুক্তিতে আফিফ হোসেনকে ধরে রেখেছে চট্টগ্রাম। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত মুখও চট্টগ্রামের ভরসার নাম। গত মৌসুমে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আফিফের ঝলক দেখা গিয়েছিলো। জাতীয় দলে টপ-অর্ডারে ব্যাট করার সুযোগ না পেলেও ব্যাটার হিসেবে টপ-অর্ডারে নিজের সেরাটা দিতে পারেন আফিফ, সেটি প্রমাণিত। যেহেতু টপ-অর্ডার ব্যাটার হিসেবে খেলবেন এজন্য আগের মৌসুমের মতো তার কাছ থেকে এবারও সেরাটা পাবার আশা করছে চট্টগ্রাম।
সরাসরি চুক্তিতে শ্রীলংকার পেসার বিশ্ব ফার্নান্দো, অফ-স্পিনিং অলরাউন্ডার আশান প্রিয়াঞ্জন এবং আয়ারল্যান্ডের কার্টিস ক্যাম্পারকে দলে নিয়েছে চট্টগ্রাম। গত বিশ্বকাপে নিজের দক্ষতার ঝলক দেখিয়েছেন ক্যাম্পার। ব্যাটিংয়ের সাথে তার মিডিয়াম পেস দলের বড় সম্পদ হবে।
ড্রাফটে সুযোগ পেয়েও স্থানীয়দের মধ্যে বড় কোন তারকাকে নেয়নি চট্টগ্রাম। জাতীয় দলে না খেলা মৃত্যুুঞ্জয় চৌধুরী এবং শুভাগত হোম চৌধুরীকে দলে নেয় তারা। শুভাগতের জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও অভিষেক হয়নি মৃত্যুঞ্জয়ের।
অফ-স্পিনিং অলরাউন্ডার হিসেবে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত পারফরমার শুভাগত। এই ডানহাতি লোয়ার মিডল-অর্ডার ব্যাটার হিসেবে যেকোন বোলিংকে সমস্যায় ফেলতে পারেন । বাংলাদেশের কন্ডিশনে অফ স্পিন বোলিং খুবই কার্যকর এবং পাওয়ার প্লেতে ভালো বোলিং করতে পারেন তিনি।
জাতীয় দলে এখনও জায়গা না পেলেও ইতোমধ্যে নিজেকে প্রমান করেছেন মৃত্যুঞ্জয়। গত বিপিএলে সেটি দেখিয়েছেন তিনি। গত বিপিএলে হ্যাট্রিকও করেছিলেন । ডেথ ওভার স্পেশালিস্ট হিসেবে নিজের সেরাটা দেখিয়েছিলেন এই পেসার। ব্যাট হাতেও জ¦লে উঠতে পারেন এই বাঁ-হাতি। দলের প্রয়োজনে কার্যকর ইনিংস খেলতে পারেন মৃত্যুঞ্জয়।
ওপেনার বিবেচনায় নেদারল্যান্ডসের ম্যাক্স ও’দাউদকে দলে নিয়েছে চট্টগ্রাম। গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি দারুন পারফরমেন্স করেছেন তিনি। তবে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের উইকেটের মধ্যে ব্যাপক পার্থক্য রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়া ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক অধিনায়ক উন্মুখ চাঁদকেও দলে নিয়েছে চট্টগ্রাম। এশিয়ার কন্ডিশন সর্ম্পকে বেশ ভালোই জানেন চাঁদ। ভারতের অন্যতম প্রতিভাবান ব্যাটার হিসাবে বিবেচনা করা হতো তাকে। কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য ফর্মহীন থাকায় ভারতীয় নির্বাচকদের বিবেচনা থেকে বাদ পড়েন তিনি। যদি নিজের সেরা ফর্মে ফিরতে পারেন তাহলে বড় পার্থক্য গড়ে দিবেন চাঁদ। এ জায়গায় স্থানীয়দের মধ্যে বিকল্প হিসেবে থাকছেন তৌফিক খান তুষার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সিলেট বিভাগের হয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে আলোচনায় আসেন তিনি।
স্পিন বিভাগে দলের বড় তারকা বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এখনও নিজেকে শক্তিশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেননি তাইজুল। সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে তার। ঘরোয়া ক্রিকেটে অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার হিসেবে চট্টগ্রাম ধরে রেখেছে ফরহাদ রেজা ও জিয়াউর রহমানকে। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার হিসেবে আছেন ইরফান শুক্কুর। নিজেদের দিনে পার্থক্য গড়তে পারেন তারা।
চট্টগ্রামের পেস আক্রমণ খুব বেশি ধারালো নয়। মৃত্যুঞ্জয়ের সাথে থাকবেন আরেক বাঁ-হাতি পেসার মেহেদি হাসান রানা। এছাড়াও আছেন ডান-হাতি পেসার আবু জায়েদ রাহি। সম্প্রতিতকালে ফর্ম নেই তার। তবে নিজেকে সেরা বোলার হিসেবে প্রমানের চেস্টা করবেন তিন। বোলিং ঘাটতি কতটা প্রভাব ফেলবে সেটিই দেখার বিষয়।
আগামী ৬ জানুয়ারি বিপিএলের প্রথম ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স :
গরাসরি চুক্তি : আফিফ হোসেন, বিশ্ব ফার্নান্দো (শ্রীলংকা), আশান প্রিয়াঞ্জন (শ্রীলংকা), কার্টিস ক্যাম্পার (আয়ারল্যান্ড), দারউইশ রাসুলি (আফগানিস্তান)।
ড্রাফট থেকে স্থানীয় খেলোয়াড় : মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, শুভাগত হোম চৌধুরী, মেহেদি হাসান রানা, ইরফান শুক্কুর, মেহেদি মারুফ, জিয়াউর রহমান, তাইজুল ইসলাম, আবু জায়েদ রাহি, ফরহাদ রেজা, তৌফিক খান তুষার।
ড্রাফট থেকে বিদেশী খেলোয়াড় : ম্যাক্স ও’ডাউড (নেদারল্যান্ডস), উন্মুখ চাঁদ (ভারত/মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র)।