শিরোনাম
প্যারিস, ৭ জানুয়ারি ২০২৩ (বাসস) : অনুশীলনে ডান পায়ে চোট পাওয়ায় বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলা হচ্ছেনা বিশে^র এক নম্বর খেলোয়াড় স্পেনের কার্লোস আলকারাজের।
১৯ বছর বয়সী এই স্প্যানিয়ার্ড টুইটারে এ সম্পর্কে লিখেছেন, ‘হঠাৎ করেই আমি ইনজুরিতে পড়েছি। অনুশীলনে আমি আকস্মিক ভাবেই অঘটনের শিকার হই। অস্ট্রেলিয়ায় খেলার জন্য আমি কঠোর পরিশ্রম করেছিলাম। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত: আমার আর খেলা হচ্ছেনা। বিষয়টা সত্যিই কঠিন। কিন্তু আমাকে এগিয়ে যেতে হবে, সুস্থ হয়ে ওঠার সর্বাত্মক চেষ্ট চালাতে হবে। ২০২৪ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে দেখা হবে।’
আলকারাজ নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আরেক স্প্যানিয়ার্ড ২২ বারের গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ী রাফায়েল নাদাল শীর্ষ খেলোয়াড় হিসেবে আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে মেলবোর্নে শুরু হওয়া অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে কোর্টে নামতে যাচ্ছেন। এখানে নয় বারের বিজয়ী ও ২১টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক নোভাক জকোভিচ উঠে এসেছে শীর্ষ চারে। অর্থাৎ সেমিফাইনালের আগে পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী নাদালের সাথে আর দেখা হচ্ছেনা জকোভিচের। গত বছর ভ্যাকসিন জটিলতায় কোর্টে নামার আগে আগেই দেশে ফিরে যেতে হয়েছিল জকোভিচকে। এবার আবারো নতুন উদ্যোমে কোর্টে নামতে যাচ্ছেন সাবেক এই শীর্ষ বাছাই।
১৯৭৩ সালে এটিপি র্যাঙ্কিং চালু হবার পর সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে আলকারাজ এটিপি বিশ^ র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান লাভ করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে ইউএস ওপেন জয় করার পরই আলকারাজ র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান দখল করেন। এর মাধ্যমে সবচেয় কম বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থেকে বছর শেষ করার রেকর্ড গড়েন আলকারাজ। একইসাথে ২০০৩ সালের পর জকোভিচ, নাদাল, রজার ফেদেরার ও এন্ডি মারের বাইরে প্রথম কোন খেলোয়াড় হিসেবে শীর্ষস্থান পান। নভেম্বরে পেশীর ইনজুরির কারনে প্যারিস মাস্টার্সের কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যাচ থেকে তিনি সড়ে দাাঁড়াতে বাধ্য হয়েছিলেন। এর ফলে মৌসুমের শেষ টুর্নামেন্ট এটিপি ফাইনালে আর খেলা হয়নি। তুরিনে এবারের ফাইনালে জয়ী হয়েছে জকোভিচ। ডেভিস কাপের ফাইনাল থেকেও তিনি নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। আগামী সপ্তাহে মেলবোর্নে কুইয়ং টেনিস ক্লাসিকেও খেলতে পারবেন না আলকারাজ। এর আগে দুইবার তিনি অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলেছেন। ২০২১ সালে দ্বিতীয় রাউন্ড ও গত বছর শেষ ৩২ থেকে বিদায় নেন।
গত বছর আলকারাজ পাঁচটি শিরোপা জয় করেছেন, ৭০টি ম্যাচের মধ্যে জিতেছেন ৫৭টিতে। ২০২২ সাল তিনি শুরু করেছিলেন র্যাঙ্কিংয়ের ৩২ নম্বরে থেকে। ৫০ বছরের র্যাঙ্কিংয়ের ইতিহাসে এত বড় উন্নতি বছর শেষে আর কারো হয়নি।