শিরোনাম
ঢাকা, ৭ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ) আয়োজিত ‘শেখ কামাল ২য় বাংলাদেশ যুব গেমস ২০২৩’ এ আজ শনিবার ষষ্ঠ দিনও দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় আন্তঃউপজেলা পর্যায়ের খেলা চলমান রয়েছে। এ পর্বের খেলা ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে।
আজ শেরপুরে আন্তঃউপজেলা পর্যায়ের খেলা শুরু হয়। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি স্টেডিয়ামে গেমসের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার। উদ্বোধনী দিনে ফুটবল, দাবা ও টেবিল টেনিসসহ ৩টি ডিসিপ্লি¬নের ৮টি ইভেন্টের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। শেরপুর জেলায় ৭টি ডিসিপ্লি¬নের ১৮টি ইভেন্টে প্রায় সাড়ে ৫ শতাধিক অনুর্ধ্ব-১৭ বছর বয়সী তরুণ-তরুণী অংশ নিচ্ছে।
হবিগঞ্জে সকালে হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়ামে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম গেমসের উদ্বোধন করেন। তিনদিন ব্যাপী যুব গেমসের ৮টি ইভেন্টে খেলা অনুষ্ঠিত হবে। ৯টি উপজেলার প্রায় এক হাজার ক্রীড়াবিদ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। ৯ জানুযারি বিকেলে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হবে।
নাটোরেন স্থানীয় শংকর গোবিন্দ চৌধুরী ষ্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি শামীম আহমেদ সভাপতিত্বে গেমসের উদ্বোধন করেন নাটোর-২ আসনের (নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা) সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুল। দলীয় ইভেন্টে ভলিবল ও কাবাডি এবং একক ইভেন্টে ব্যাডমিন্টন, তায়কোয়ান্ডো, দাবা ও অ্যাথলেটিকসের খেলা রয়েছে।
পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়ামে গেমসের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি। পিরোজপুর জেলার ৭ উপজেলায় ৮টি ইভেন্টের খেলা অনুষ্ঠিত হবে।
চট্টগ্রামে আজ সকালে সিজেকেএস কনভেনশন হলে দাবা ইভেন্টের উদ্বোধন করেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন। ব্যাডমিন্টন ইভেন্টের উদ্বোধন করেন সিজেকেএস যুগ্ম সম্পাদক ও ব্যাডমিন্টন কমিটির চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম।
কুড়িগ্রাম জেলা স্টেডিয়াম মাঠে ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। তরুণ দ্বৈতে রাজারহাটের খালিদ-বিশাল জুটিকে ২-০ সেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সদর উপজেলার সীমান্ত-অংকন জুটি। তরুণ এককে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন রাজারহাটের বিশাল আহমেদ। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নীলু ও ব্যাডমিন্টন প্রতিযোগিতার আহবায়ক জিল্লুর রহমান টিটু।
শেরপুরে তরুণ ফুটবলে সদর উপজেলা ১-০ গোলে শ্রীবর্দী উপজেলাকে হারিয়েছে। অপর ম্যাচে নকলা উপজেলা ২-০ গোলে ঝিনাইঘাতী উপজেলাকে হারিয়েছে। তরুণী ফুটবলে শ্রীবর্দী উপজেলাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে সদর উপজেলা এবং নকলা উপজেলাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ঝিনাইঘাতী উপজেলা। তরুণ র্যাপিড দাবায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন সদর উপজেলার সামিউর রহমান রিয়ান। রানার-আপ হয়েছেন নকলা উপজেলার সৈকত সরকার। তরণী র্যাপিড দাবায় সদর উপজেলার সৈয়দা আফিয়া মাহবুব চ্যাম্পিয়ন এবং নালিতাবাড়ীর আদিবা রানার-আপ হয়েছেন। ব্লিজ তরুণ দাবায় নকলা উপজেলার স্বাধীন সরকার চ্যাম্পিয়ন এবং সদর উপজেলার নাসিমুল হাসান নয়ন রানার-আপ হয়েছেন। ব্লিজ তরুণী দাবায় সদর উপজেলার সিদরাতুল মুনতাহা বুশরা চ্যাম্পিয়ন এবং রানার-আপ হয়েছে শ্রীবরধীর মারিয়া ইসলাম। দলগত দাবায় শেরপুর সদর উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। নকলা উপজেলা রানার্স-আপ হয়েছে।
গাইবান্ধা জেলায় তরুণ রাগবী ইভেন্টে সাদুল্লাপুর উপজেলাকে ২১-০ পয়েন্ট হারিয়ে সদর উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সাঁতারের তরুণ বিভাগের খেলা সম্পন্ন হয়েছে। ৫০ মিটার ফ্রি স্টাইলে প্রথম হয়েছেন সদর উপজেলার রতন মিয়া এবং দ্বিতীয় হয়েছেন ফুলছড়ি উপজেলার সাকিব। ১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে সদর উপজেলার হিমেল প্রথম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন ফুলছড়ি উপজেলার সাকিব। ২০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে সদর উপজেলার মানিক মিয়া প্রথম এবং ফুলছড়ি উপজেলার দিসান আহমেদ জিসান দ্বিতীয় হয়েছেন। ৫০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে সাঘাটা উপজেলার জসিদউদ্দিন প্রথম এবং ফুলছড়ি উপজেলা জাহিদ সরকার দ্বিতীয় হয়েছেন। ১০০ মিটার ব্যাক স্ট্রোকে সদর উপজেলার রতন মিয়া প্রথম এবং সাদুল্লাপুর উপজেলার লিমন মিয়া দ্বিতীয় হয়েছেন। ১০০ মিটার ব্রেস্ট স্ট্রোকে সদর উপজেলার মানিক মিয়া প্রথম এবং সাদুল্লাপুর উপজেলার হাসান দ্বিতীয় হয়েছেন। ৫০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে সদর উপজেলার রতন মিয়া প্রথম এবং সাদুল্লাপুর উপজেলার হাসান দ্বিতীয় হয়েছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ে তরুণ তায়কোয়ান্ডো +৫৯ কেজি ইভেন্টে পীরগঞ্জের জীবন প্রথম এবং সদর উপজেলার অর্জন দাস দ্বিতীয় হয়েছেন। Ñ৫১ কেজি ইভেন্টে পীরগঞ্জের শ্রীপ্রবণ রায় প্রথম এবং বালিয়াডাঙ্গির রবিউল ইসলাম দ্বিতীয় হয়েছেন। Ñ৫৫ কেজি ইভেন্টে খায়রুল ইসলাম প্রথম এবং বালিয়াডাঙ্গির পিয়াদ জাহান সবুজ দ্বিতীয় হয়েছেন। তরুণী তায়কোয়ান্ডো +৫২ কেজি ইভেন্টে পীরগঞ্জের রুলী দাস প্রথম এবং সদর উপজেলার রিমা আক্তার দ্বিতীয় হয়েছেন। -৫৯ কেজি ইভেন্টে বালিয়াডাঙ্গির সাদিকুন্নাহার প্রথম এবং সদরের আঁখি আক্তার দ্বিতীয় হয়েছেন। Ñ৪৪ কেজি ইভেন্টে রানীশংকৈলের মিলি আক্তার প্রথম এবং বালিয়াডাঙ্গির ফাতেমা আক্তার অপি দ্বিতীয় হয়েছেন। নোয়াখালীতে শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে তরুণ ১০০ মিটার স্প্রিন্টে সদরের তারেক প্রথম এবং বেগমগঞ্জের বাকী বিল্লাহ দ্বিতীয় হয়েছেন। ২০০ মিটার স্প্রিন্টে হাতিয়ার সুনাম প্রথম এবং বেগমগঞ্জের বাকী বিল্লাহ দ্বিতীয় হয়েছেন। ৪০০ মিটার দৌঁড়ে সদরের তারেক প্রথম এবং চাটখিলের শুভ দ্বিতীয় হয়েছেন। ৮০০ মিটার দৌঁড়ে সদরের ফাহিম প্রথম এবং বেগমগঞ্জের রবিউল দ্বিতীয় হয়েছেন। ১৫০০ মিটার দৌঁড়ে সদরের ফাহিম প্রথম এবং কোম্পানীগঞ্জের সাজ্জাদ দ্বিতীয় হয়েছেন। তরুণ লং জাম্পে সদরের মোহাইমেনুল আক্তার প্রথম এবং কোম্পানীগঞ্জের আনোয়ার হোসেন দ্বিতীয় হয়েছেন। তরুণ হাই জাম্পে সদরের মোহাইমেনুল প্রথম এবং হাতিয়ার সুনাম দ্বিতীয় হয়েছেন। শটপুটে সদরের মোহাইমেনুল আক্তার প্রথম এবং চাটখিলের ইমাম দ্বিতীয় হয়েছেন। তরুণী ১০০ মিটার স্প্রিন্টে চাটখিলের সনিয়া আক্তার প্রথম এবং সদরের তামান্না আক্তার দ্বিতীয় হয়েছেন। ২০০ মিটার স্প্রিন্টে সদরের তামান্না আক্তার প্রথম এবং চাটখিলের সুমাইয়া আক্তার দ্বিতীয় হয়েছেন। ৪০০ মিটার দৌঁড়ে সদরের তানিশা প্রথম এবং কোম্পানীগঞ্জের জান্নাতুল নাঈম দ্বিতীয় হয়েছেন। ৮০০ মিটার দৌঁড়ে সদরের তানজিলা আক্তার প্রথম এবং চাটখিলের সনিয়া দ্বিতীয় হয়েছেন। ১৫০০ মিটার দৌঁড়ে সদরের তানিশা প্রথম এবং কোম্পানীগঞ্জের জান্নাতুল নাঈম দ্বিতীয় হয়েছেন। লং জাম্পে সদরের তানিশা প্রথম এবং কোম্পানীগঞ্জের প্রিয়া আক্তার দ্বিতীয় হয়েছেন। হাই জাম্পে সদরের তামান্না আক্তার প্রথম এবং সেনবাগের তাহমিনা আক্তার দ্বিতীয় হয়েছেন। শটপুটে সদরের তানজিনা আক্তার প্রথম এবং বেগমগঞ্জের বন্যা আক্তার মীম দ্বিতীয় হয়েছেন।