শিরোনাম
ঢাকা, ৮ জানুয়ারি ২০২৩ (বাসস): বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, দেশে আধুনিক ক্রীড়ার রূপকার শহীদ শেখ কামালের নামানুসারে আগামী ১৪ জানুয়ারি দেশব্যাপি শুরু হতে যাচ্ছে ‘শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৩’।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া গতবছর নভেম্বরে ফেডারেশনের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহনের পর বাংলাদেশে তৃণমূল পর্যায় থেকে মেধাবী ক্রীড়াবিদ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে এ প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। মুলত: ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হবার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশ এ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের। যুব সমাজকে মাদকমুক্ত রাখা এবং স্বাস্থ্য সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের যাত্রা শুরু।
সে সময়ে তৃনমুল পর্যায় থেকে মেধাবী ক্রীড়াবিদ খুঁজে বের করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী বৃহত্তর পরিসরে অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অ্যাথলেটিকসের মাধ্যমেই সর্বপ্রথম বিশ্ব আসরে বাংলাদেশের পতাকা তুলে ধরার সুযোগ লাভ করেছিল বাংলাদেশ। দেশে সর্বশেষ তৃনমুল পর্যায়ের অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। এরপর উপযুক্ত সংগঠকের অভাব, আর্থিক সংকটসহ নানান প্রতিকুলতার কারণে দেশে বড় কোন টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে পারেনি ফেডারেশন।
তবে মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সভাপতির দায়িত্ব গ্রহনের পর বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নতুন করে উদ্যোগ গ্রহন করেছেন। যার প্রথম পদক্ষেপ শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৩। অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু বাসস’কে বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পুরনের লক্ষ্যে বেশ কিছু পকিল্পনা গ্রহন করেছেন নতুন সভাপতি। তার মতে ‘অংশগ্রহনই বড় কথা। অ্যাথলেটিকেসর মাধ্যমে মানুষের শরীরর ও মন গঠিত হয়। যুব সমাজকে সঠিক পথে চালনার জন্য অ্যাথলেটিকসের বিকল্প নেই।’
তিনি জানান,শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা শেষ হবার পর আয়োজন করা হবে জুনিয়র অ্যাথলেটিকস। এসব প্রতিযোগিতা থেকে বের হয়ে আসা প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের দীর্ঘ মেয়াদি প্রশিক্ষনের আওতায় আনা হবে, দেয়া হবে বৃত্তি।’
মন্টু বলেন,‘ অ্যাথলেটদের মধ্যে পেশাদারিত্ব আনার লক্ষ্যেও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহনে গুরুত্ব আরোপ করেছেন নতুন সভাপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। আর্থিকভাবে নিরাপত্তা দেয়ার লক্ষ্যে কৃতি অ্যাথলেটদের বিভিন্ন সংস্থায় চাকুরি প্রদানের লক্ষ্য স্থির করেছেন তিনি। লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সার্ভিসেস,কর্পোারেট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজ উদ্যোগে যোগাযোগ করছেন ফেডারেশনের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।’
শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতার প্রাথমিক সময়সূচি অনুযায়ী ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে ১৪ থেকে ২৮ জানুয়ারি। এছাড়া ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি জেলা এবং ৯ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার সুচি পরে নির্ধারণ করা হবে।
প্রতিযোগিতায় শ্রেনী ভিত্তিক ৪টি গ্রুপে ৩২টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীরা ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে ১০০ ও ২০০মিটার দৌঁড়, হাই জাম্প ও লং জাম্পে অংশ নিবে। ৯ম ও ১০ম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা ‘গ’ ও ‘ঘ’ গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ১০০, ২০০, ৪০০, ৮০০ ও ১৫০০মিটার দৌঁড়, হাই জাম্প, লং জাম্প, ট্রিপল জাম্প, বর্শা নিক্ষেপ , শট পুট, ডিসকাস থ্রো এবং ৪ ১০০ মিটার রিলেতে।