শিরোনাম
ঢাকা, ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন (বিওএ) আয়োজিত ‘শেখ কামাল ২য় বাংলাদেশ যুব গেমস ২০২৩’ এর আজ রবিবার সপ্তম দিনও দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন জেলায় আন্তঃউপজেলা পর্যায়ের খেলা চলমান রয়েছে।
ফেনীতে শহীদ সালাম স্টেডিয়ামে গেমসের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন ও বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম লেদু। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আমির হোসেন বাহার উপস্থিত ছিলেন।
শরীয়তপুরের বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ স্টেডিয়ামে গেমসের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. পারভেজ হাসান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ফখরুদ্দিন হায়দার। এছাড়া শরীয়তপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, শরীয়তপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামসহ জেলার ছয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। জেলায় ফুটবল, কাবাডি, দাবা, সাঁতার, কারাতে, ব্যাডমিন্টন ও অ্যাথলেটিকসসহ ২৪টি ইভেন্টে ছয় শতাধিক প্রতিযোগী অংশ নিচ্ছেন।
বরিশালে শহীদ আব্দুর রব স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে তরুণী বিভাগে সদর উপজেলার মিতু আক্তার প্রথম এবং আগৈলঝাড়া উপজেলার লাবন্য আক্তার দ্বিতীয় হয়েছেন। ২০০ মিটার স্প্রিন্টে বাকেরগঞ্জ উপজেলার বৈশাখী শীলা প্রথম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন সদরের মিতু আক্তার। ২০০ মিটার স্প্রিন্টে তরুণ বিভাগে প্রথম হয়েছেন সদর উপজেলার আশিক হাওলাদার। দ্বিতীয় হয়েছেন বানারীপাড়ার ইয়াসিন। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে প্রথম হয়েছেন মুলাদীর আসাদুর রহমান। দ্বিতীয় হয়েছেন বানারীপাড়ার মো. মিলন। ব্যাডমিন্টনে তরুণ এককে প্রথম হয়েছেন সদরের রাজু আহমেদ। দ্বিতীয় হয়েছেন বাবুগঞ্জের আব্দুল্লাহ আল মারুফ। তরুণ দ্বৈতে প্রথম হয়েছেন সদরের রাজু আহমেদ ও মোস্তাবি সানী। দ্বিতীয় হয়েছেন বাবুগঞ্জের সাকিব হাসান ও আব্দুল্লাহ আল মারুফ। তরুণী একেক সদর উপজেলার মুনতাজেরা প্রথম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন হিজলা উপজেলার হাফসা আক্তার। তরুণী দ্বৈতে সদরের চম্পা কলি ও মুনতাজেরা প্রথম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন বাবুগঞ্জের লামিয়া আক্তার ও স্বর্ণা আক্তার। লক্ষ্মীপুরে দ্রুততম মানব হয়েছেন সদর উপজেলার মো. শিহাব এবং মানবী কমলনগর উপজেলার সানজিদা সাইয়াম রিয়া।
মাগুরায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১০০ মিটার স্প্রিন্টে তরুণ বিভাগে সদরের মো. আরমান আলী প্রথম এবং শালিখা উপজেলার হাবিবুর রহমান দ্বিতীয় হয়েছেন। ২০০ মিটারে স্প্রিন্টে সদরের মো. আরমান আলী প্রথম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন শালিখা উপজেলার হাবিবুর রহমান। ৪০০ মিটার দৌঁড়ে শালিখা উপজেলার জিধান মোল্যা প্রথম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন সদরের মাজেদুর রহমান। ৮০০ মিটার দৌঁড়ে সদরের সোহাগ হোসেন প্রথম এবং শালিখা উপাজেলার দেব্রত পাল দ্বিতীয় হয়েছেন। লং জাম্পে সদরের রবিন হোসেন প্রথম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন শালিখা উপজেলার সৌম্য বিশ্বাস। হাই জাম্পে সদরের সোহেল হোসেন প্রথম এবং শালিখা উপজেলার রফিউজ্জামান দ্বিতীয় হয়েছেন। গোলক নিক্ষেপে সদরের মো. আরমান আলী প্রথম এবং শালিখা উপজেলার মো. তাজিম হোসেন দ্বিতীয় হয়েছেন। বর্ষা নিক্ষেপে সদরের আলী রাজ হোসেন প্রথম এবং শালিখা উপজেলার অমিত মন্ডল দ্বিতীয় হয়েছেন। চাক্তি নিক্ষেপে সদরের মো. আলী রাজ হোসেন প্রথম এবং শালিখা উপজেলার জয় বিশ্বাস দ্বিতীয় হয়েছেন। অন্যদিকে নোয়াখালীতে ফুটবলের ফাইনালে সেনবাগ উপজেলাকে ২-০ গোলে হারিয়ে সদর উপজেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
রংপুরে ব্যাডমিন্টন তরুণ এককে প্রথম হয়েছেন সদর উপজেলার মিসকাত বিল্লাহ। দ্বিতীয় হয়েছেন পীরগাছার রুপম। ব্যাডমিন্টন তরুণী এককে প্রথম হয়েছেন গঙ্গাছড়া উপজেলার জান্নাতুল ফৌরদোস। দ্বিতীয় হয়েছেন সদর উপজেলার মমতা। কারাতে তরুণী ৪০ কেজি ওজন শ্রেনীতে প্রথম হয়েছেন সদর উপজেলার অনামিকা। দ্বিতীয় হয়েছেন পীরগাছা উপজেলার মালিহা। ৫০ কেজিতে মিঠাপুকুর উপজেলার রিংকি প্রথম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন সদর উপজেলার অদিতি। ৫৫ কেজিতে সদর উপজেলার নাজিবা প্রথম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন কাউনিয়া উপজেলার আস্থা। ৬১ কেজিতে সদর উপজেলার নাবিলা প্রথম এবং গঙ্গাছড়া উপজেলার রাইসা দ্বিতীয় হয়েছেন। ৬৮ কেজিতে সদর উপজেলার শরিফা প্রথম এবং মিঠাপুকুর উপজেলার প্রতিক্ষা দ্বিতীয় হয়েছেন। +৬৮ কেজিতে গঙ্গাছড়া উপজেলার জ্যোতি ও পীরগাছা উপজেলার সুষমা প্রথম হয়েছেন। দ্বিতীয় হয়েছেন পীরগঞ্জ উপজেলার মৌনতা ও মিঠাপুকুর উপজেলার ঐশি দ্বিতীয় হয়েছেন। কাতা ইভেন্টে প্রথম হয়েছেন পীরগাছা উপজেলার সুষমা এবং দ্বিতীয় হয়েছেন সদর উপজেলার শরিফা। দাবা একক র্যাপিড তরুণ বিভাগে সদর উপজেলার কৌশিক রায় প্রথম এবং গঙ্গাছড়া উপজেলার সাদমান বিন ধন্য দ্বিতীয় হয়েছেন। একক ব্লিজে সদর উপজেলার কৌশিক রায় প্রথম এবং গঙ্গাছড়া উপজেলার সাদমান বিন ধন্য দ্বিতীয় হয়েছেন। দাবা দলগত তরুণী বিভাগে প্রথম হয়েছেন গঙ্গাচড়া উপজেলার মল্লিকা রায়, পীরগাছা উপজেলার মুনিয়া মুনতাহা ও জান্নাত এবং সদর উপজেলার রোজিনা আক্তার। দ্বিতীয় হয়েছেন সদর উপজেলার ছাদিকা ইয়াসিন ও টুম্পা রায়, কাউনিয়া উপজেলার খাদিজা আক্তার ও গঙ্গাছড়া উপজেলার জ্যোতি।
রেসলিং ৪৫ কেজি ওজন শ্রেনী তরুণ বিভাগে সদর উপজেলার আকাশ প্রথম হয়েছেন। দ্বিতীয় হয়েছেন পীরগাছা উপজেলা জিহাদ হাসান। ৪৮ কেজিতে গঙ্গাচড়া উপজেলার পল্লব সরকার প্রথম এবং সদর উপজেলার রাকিবুল ইসলাম দ্বিতীয় হয়েছেন। ৫১ কেজিতে সদর উপজেলার রবিউল ইসলাম প্রথম এবং কাউনিয়া উপজেলার মাহবুব হোসেন দ্বিতীয় হয়েছেন। ৫৫ কেজিতে পীরগাছা উপজেলার শুভ প্রথম এবং গঙ্গাছড়া উপজেলার সাব্বির হোসেন দ্বিতীয় হয়েছেন। ৬০ কেজিতে গঙ্গাছড়া উপজেলার আকাশ চন্দ্র প্রথম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন সদর উপজেলার শিপ্র দেব রায়। ৬৫ কেজিতে সদর উপজেলার সাদিক চৌধুরী প্রথম এবং মিঠাপুকুর উপজেলার গোলাপ মিয়া দ্বিতীয় হয়েছেন। ৭১ কেজিতে সদর উপজেলার জিহাদ হাসান প্রথম এবং মিঠাপুকুর উপজেলার প্রিয়ওন কুমার। ৮০ কেজিতে পীরছাড়ার মোস্তাফিজার প্রথম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন সদর উপজেলার তোফাজ্জল হোসেন।