বাসস
  ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:৪৩

হৃদয়-শান্তদের ব্যাটিংয়ে উচ্ছ্বসিত সাকিব

ঢাকা, ১১ জানুয়ারি ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের নবম আসরের ঢাকা পর্ব শেষে সেরা পারফরমারদের শীর্ষে রয়েছে দেশি ক্রিকেটাররা। ব্যাটার বা বোলার, দুই বিভাগেই সেরা দেশি ক্রিকেটাররা। ব্যাটিংয়ে তৌহিদ হৃদয়-নাজমুল হোসেন শান্তদের ব্যাটে রান দেখে উচ্ছসিত ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার সাথে সুর মিলিয়ে বিপিএলের উইকেটেরও প্রশংসা করেছেন সাকিব।
আজ  এক অনুষ্ঠানে চলমান বিপিএল নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ সব কথা বলেন  সাকিব।
বিপিএলের ঢাকা পর্বে ৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ৮ ম্যাচের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে সিলেট। ৪টি ম্যাচ খেলেছে মাশরাফি-মুশফিকের দল।
ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষ দু’টি স্থানে আছেন দুই দেশি ক্রিকেটার সিলেটের তৌহিদ হৃদয় ও নাজমুল হোসেন শান্ত। ৩ ইনিংসে হৃদয় ১৯৫ রান। ৪ ইনিংসে শান্ত ১৬৭ রান করেন। দেশিদের অন্তত ১শ রান করেছেন আর দু’জন। তারা হলেন- রংপুর রাইডার্সের রনি তালুকদার ও সিলেটের জাকির হাসান। রনি ২ ইনিংসে ১০৭ ও ৪ ইনিংসে জাকির ১০০ রান করেছেন।
হৃদয়-শান্ত-জাকিরদের প্রশংসা করে সাকিব বলেন, ‘অনেকেই ভালো খেলছে। শান্ত-হৃদয়, জাকিররা খুবই ভালো ব্যাটিং করছে। অন্যান্য দলের ক্রিকেটাররাও ভালো ব্যাটিং করছে। স্থানীয় ব্যাটাররা ভালো ব্যাটিং করছে এটা আমাদের জন্য ভালো দিক। অনেক কৃতিত্ব দিতে হয় উইকেটকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘উইকেট ভালো, তাই ব্যাটাররা ভাল রান করতে পারছে। দেখুন আগে ৩০-৪০ হতো এখন ৭০ হচ্ছে। এরপর তারা এটাও শিখে যাবে যে কিভাবে একশ করতে হয়।’
বোলিংয়ের শীর্ষ দু’টি স্থানে দখলে নিয়েছেন দুই দেশি পেসার ঢাকা ডমিনেটর্সের আল-আমিন হোসেন ও সিলেটের মাশরাফি। আল-আমিন ২ ইনিংসে ও মাশরাফি ৪ ইনিংসে ৭টি করে উইকেট নিয়েছেন। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৬টি উইকেট আছে সিলেটের পেসার রেজাউর রহমান রাজার। তারপরও স্থানীয় বোলারদের পারফরমেন্সে খুশি নন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশীয় বোলাররা ভালো বল করছে না। ভালো উইকেটে কিভাবে বোলিং করতে হয়, সেটাও আমাদের শিখতে হবে এখন।’
মাশরাফির সুরে বিপিএলে উইকেট নিয়ে প্রশংসা করেছেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘এবারের উইকেট অনেক ভালো। মিরপুরে সাধারণত এতো ভালো উইকেট আমরা পাই না। কিউরেটরকে কৃতিত্ব দিতেই হবে। একারণেই এতো বেশি রান হচ্ছে। আর মাঠের খেলাটাও অনেক বেশি ভালো হচ্ছে। এক্সাইটিং হচ্ছে।’