শিরোনাম
ঢাকা, ১২ জানুয়ারি ২০২৩ (বাসস): বিশ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর অংশগ্রহনে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, দেশে আধুনিক ক্রীড়ার রূপকার শহীদ শেখ কামালের নামানুসারে আগামী শনিবার দেশব্যাপি শুরু হতে যাচ্ছে ‘শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা-২০২৩’।
আজ এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ও অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সভাপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি এডভোকেট নুরুদ্দিন চৌধুরী নয়ন এমপি, যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দিন আহমেদ, ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু ও পৃষ্ঠপোষক ওয়াল্টনের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।
ফেডারেশন সভাপতি বলেন ,‘ শুধু আন্দোলন সংগ্রামেই নয়, খেলার মাঠেও এক আকর্ষনীয় ও অনবদ্য চরিত্র ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কৈশোরে ও তারুণ্যে খেলাধুলার সঙ্গে ছিল তাঁর নিবিড় সখ্যতা। বঙ্গবন্ধুর একান্ত উদ্যোগেই ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা শুরু হয়। জাতির পিতার দেখানো পথ ধরেই শনিবার থেকে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে শেখ কামাল আন্ত:স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা।’
তিনি আরো বলেন,‘ দেশের ৫০০টি উপজেলা, ৬৪টি জেলা ও ৮টি বিভাগের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার আনুমানিক ২০ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নিবে বলে আশা করছি। সেই বিবেচনায় এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা হতে যাচ্ছে। এদের মধ্য থেকেই আমরা দেশের ভবিষ্যৎ দ্রুততম-মানব-মানবীসহ দেশ সেরা অ্যাথলেটদের খুঁজে পাব।’
তোফাজ্জল হোসেন বলেন,‘ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে অগনিত ক্রীড়া সহায়ক উদ্যোগ ও পরিকল্পনা প্রনয়ন এবং এর সফল বাস্তবায়নের কারণে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে একের পর এক সাফল্য যুক্ত হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতাও দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রাণচাঞ্চল্যের সৃস্টি করবে।’
আগামী ১৪ -২৮ জানুয়ারি ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে, ১-৫ ফেব্রুয়ারি জেলা পর্যায়ে এবং ৯ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে এই প্রতিযোগিতা। শ্রেনী ভিত্তিক দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে শিক্ষার্থীরা। ষষ্ঠ থেকে অস্টম শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীরা ‘ক’ গ্রুপ এবং নবম ও দশম শ্রেনীর ছাত্র-ছাত্রীরা ‘খ’ গ্রুপের হয়ে অংশ নিবে এই প্রতিযোগিতায়।
‘ক’ গ্রুপের ছাত্র-ছাত্রীরা ১০০ ও ২০০মিটার দৌঁড়, হাই জাম্প ও লং জাম্পে অংশ নিবে। ‘খ’ গ্রুপের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ১০০, ২০০, ৪০০, ৮০০ ও ১৫০০মিটার দৌঁড়, হাই জাম্প, লং জাম্প, ট্রিপল জাম্প, বর্শা নিক্ষেপ , শট পুট, ডিসকাস থ্রো এবং ৪ গুনিতক ১০০ মিটার রিলেতে।
দেশ ব্যাপি এ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তৃনমুল পর্যায় থেকে উঠে আসা মেধাবী ক্রীড়াবিদদের দেশী- বিদেশী কোচের অধীনে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান ফেডারেশন সভাপতি। এক প্রশ্নের জবাবে মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, মেধাবী ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষনের জন্য ভবিষ্যতে অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকসহ একটি স্বতন্ত্র ক্রীড়া কমপ্লেক্স তৈরীরর বিষয়টিও ফেডারেশনের বিবেচনায় রয়েছে।