শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ (বাসস) : পেসার রবিউল হক ও পাকিস্তানী ব্যাটার শোয়েব মালিকের নৈপুণ্যে জয়ের ধারায় ফিরলো রংপুর রাইডার্স।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসরে আজ নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে রংপুর ৪ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্সকে। বল হাতে রবিউল ৪ উইকেট শিকারের পর মালিক ৩৬ বলে ৪৪ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন।
প্রথম ম্যাচ জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছিলো রংপুর। অন্য দিকে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচের সবগুলোতেই হারলো খুলনা।
বিপিএল চট্টগ্রামের পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে স্থানীয় জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
ব্যাটিংয়ে নেমে পঞ্চম ওভারে ১৮ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় খুলনা। ওপেনার তামিম ইকবাল ১ ও পাকিস্তানের শারজিল খান ১২ রান করে আফগানিস্তানের পেসার আজমতুল্লাহ ওমরজাইর শিকার হন। আরেক ওপেনার হাবিবুর রহমান সোহানকে ৪ রানে থামিয়ে দেন বাঁ-হাতি স্পিনার রাকিবুল হাসান।
শুরুতে বিপদে পড়া খুলনাকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেন আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা পাকিস্তানের আজম খান ও অধিনায়ক ইয়াসির আলি। হাফ-সেঞ্চুরির জুটিও গড়েন তারা। ১২তম ওভারে আজম-ইয়াসির জুটি ভাঙেন রবিউল। ২টি ছক্কায় ২২ বলে ২৫ রান করেন ইয়াসির।
ইয়াসির ফেরার পর বিপদ বাড়ে খুলনার। ৯১ রানে খুলনার সপ্তম উইকেটের পতন ঘটান রবিউল-রাকিবুল। সাব্বির রহমান ১ ও পাকিস্তানের আমাদ বাটকে ৪ রানে ফেরান রবিউল। উইকেটে সেট ব্যাটার আজমকে শিকার করেন রাকিবুল। ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৩ বলে ৩৪ রান করেন আজম।
১শর নীচে গুটিয়ে যাবার শংকায় পড়া খুলনাকে শেষ পর্যন্ত সম্মানজনক সংগ্রহ এনে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও নাহিদুল ইসলাম। অষ্টম উইকেটে ১৮ বলে ৩২ রান যোগ করেন তারা। তারপরও ২ বল বাকী থাকতে ১৩০ রানে শেষ হয় খুলনার ইনিংস। সাইফুদ্দিন ১৮ বলে ২২ ও নাহিদুল ৮ বলে ১৫ রান করেন।
সংক্ষিপ্ত ভার্সনে ক্যারিয়ার সেরা ৪ ওভারে ২২ রানে ৪ উইকেট নেন রবিউল। এছাড়া হাসান-ওমরজাই ও রাকিবুল ২টি করে উইকেট নেন।
১৩১ রানের টার্গেটে শুরুটা ভালো হয়নি রংপুরেরও। ৫ ওভারে ৩১ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারায় তারা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার রনি তালুকদারকে ১ রানে শিকার করেন সাইফুদ্দিন। পঞ্চম ওভারে দুই উইকেট শিকার করেন পাকিস্তানের পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। ওভারের দ্বিতীয় বলে তিন নম্বরে নামা মাহেদি হাসানকে ১৪ রানে ও শেষ ডেলিভারিতে আরেক ওপেনার পাকিস্তানের সাইম আইয়ুবকে ১০ রানে শিকার করেন রিয়াজ।
উইকেট পতন ঠেকিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ নাইম ও পাকিস্তানের শোয়েব মালিক। ২৭ বলে ৩০ রান যোগ হবার পর এই জুটি ভাঙেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। ৩টি চারে ২২ বলে ২১ রান করে আউট হন নাইম। এতে ১০ ওভার শেষে রংপুরের স্কোর দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ৫৮ রান । অর্থাৎ ম্যাচ জিতে শেষ ১০ ওভারে ৭৩ রান দরকার পড়ে তাদের।
পরের ৬ ওভারে দলকে ৩২ রান এনে দেন মালিক ও নুরুল। ধীরলয়ে খেলতে থাকা নুরুলকে ১৬তম ওভারের শেষ বলে ফেরান নাসুম। মাত্র ১টি চারে ১৮ বলে ১০ রান করেন নুরুল।
নুরুলের ফেরার পর শেষ ১৮ বলে ৩৫ রান দরকার পড়ে রংপুরের। বাটের করা ১৮তম ওভারের শেষ তিন বলে সাত নম্বরে নামা শামিম হোসেন তিনটি চার মারলে ১৪ রান পায় রংপুর। সাইফুদ্দিনের করা ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে ১টি করে চার-ছক্কা মেরে পঞ্চম বলে আউট হন মালিক। ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৬ বলে ৪৪ রান করেন মালিক। ওভার থেকে ১৪ রান পায় রংপুর।
ওয়াহাবের করা শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ১টি ছক্কায় তৃতীয় বলে রংপুরের জয় নিশ্চিত করেন আজমতুল্লাহ। শামিম ১০ বলে ১৬ ও আজমতুল্লাহ ৪ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। খুলনার সাইফুদ্দিন-ওয়াহাব ও নাসুম ২টি করে উইকেট নেন।