শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ২০ জানুয়ারি ২০২৩ (বাসস) : জয়রথ অব্যাহত রেখেছে ফরচুন বরিশাল। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসরে টানা পাঁচ ম্যাচে জয় পেলো বরিশাল।
আজ টুর্নামেন্টের ২০তম ম্যাচে বরিশাল ১৩ রানে হারিয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্সকে। এই জয়ে ৬ ম্যাচে ৫ জয় ও ১ হারে ১০ পয়েন্ট বরিশালের। ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট আছে মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্সেরও। তবে রান রেটে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে সিলেট, দ্বিতীয়স্থানে বরিশাল। টানা পাঁচ ম্যাচ হেরে টেবিলের তলানিতেই থাকলো নাসিরের ঢাকা। ৬ ম্যাচে ১ জয় ও ৫ হারে ২ পয়েন্ট তাদের।
স্থানীয় জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন।
ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই বিদায় নেন বরিশালের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও এনামুল হক বিজয়। এবারের আসরে প্রথম খেলতে নামা সাইফকে ১০ রানে পকিস্তানের পেসার সালমান ইরশাদ ও বিজয়কে ৬ রান থামান স্পিনার আরাফাত সানি।
১৭ রানে ২ উইকেট হারানো বরিশালকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন মেহেদি হাসান মিরাজ ও শ্রীলংকার চাতুরাঙ্গা ডি সিলভা। তৃতীয় উইকেটে ১৮ বলে ২৭ রান যোগ করেন তারা। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমনে এসে মিরাজ-চাতুরাঙ্গার জুটি ভাঙ্গেন নাসির । ১০ রান করা চাতুরাঙ্গাকে আউট করেন নাসির।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে ১৭ রান করা মিরাজকে দারুন এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন নাসির।
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে আসা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান শুরু থেকেই মারমুখী মেজাজে ছিলেন। পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ ইমরানের করা সপ্তম ওভারে ১টি ছয় ও ২টি চার মারেন সাকিব। মুক্তার আলির নবম ওভারেও ২টি চার আদায় করে নেন তিনি। তবে ১১তম ওভারের মুক্তারের তৃতীয় বলে আউট হওয়ার আগে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৭ বলে ৩০ রান করেন সাকিব।
৮৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বরিশাল। এ অবস্থায় জুটি বাঁধেন গত রাতেই সেঞ্চুরি করা পাকিস্তানের ইফতেখার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিয়ে দ্রুত রানের গতি বাড়ান তারা। ১৩ থেকে ১৮ ওভারে ৬২ রান তোলে এ জুটি। মারমুখী মেজাজে ছিলেন ইফতেখার। ১৯তম ওভারে ৩১ বলেই হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইফতেখার। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় বরিশাল।
৩৪ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় অনবদ্য ৫৬ রান করেন ইফতেখার। ৩১ বলে অপরাজিত ৩৫ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। ষষ্ঠ উইকেটে ৫৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮৪ রান তুলেন ইফতেখার ও মাহমুদুল্লাহ। বল হাতে ঢাকার নাসির ২ ওভারে ১৬ রানে ২ উইকেট নেন।
১৭৪ রানের জবাবে ঢাকাকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার পাকিস্তানের উসমান গনি ও সৌম্য সরকার। ৩২ বলে ৪৬ রান তুলেন তারা।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে মারমুখী মেজাজে থাকা গনিকে বিদায় করে বরিশালকে প্রথম সাফল্য এনে দেন আফগানিস্তানের পেসার করিম জানাত। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১৯ বলে ৩০ রান করেন গনি।
পরের ওভারে সাবধানী সৌম্যকে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান চাতুরাঙ্গা। ১টি করে চার-ছয়ে ১৫ বলে ১৬ রান করেন সৌম্য। ভালো শুরুর পরও ৫০ রানের দুই ওপেনারকে হারায় ঢাকা।
চার নম্বরে নেমে ৩ রানে রান আউট হন ইমরান। ৫৯ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর জুটি বাঁধেন মোহাম্মদ মিথুন ও অধিনায়ক নাসির। শুরুতে সাবধানী ছিলেন দু’জনে।
১৪তম ওভার থেকে রানের গতি বাড়ান মিথুন ও নাসির। ১৪তম ওভারে ১১, ১৫তম ওভারে ৯, ১৬তম ওভারে ১৩, ১৭তম ওভারে ১৪ রান তুলেন মিথুন নাসির। এসময় ৪ ওভারে ৪৭ রান যোগ করলে ম্যা জিততে শেষ ৩ ওভারে ৩৮ রান দরকার পড়ে ঢাকার।
১৮তম ওভারে ৭ রান নিতে পারেন মিথুন-াসির। এমন অবস্থায় ১৯তম ওভারের প্রথম বলে চার মারলেও, ওয়াসিমের তৃতীয় ডেলিভারিতে আউট হন মিথুন। মৃত্যু ঘটে তার ২টি চার ও ৩টি ছয়ে ৩৮ বলে ৪৭ রানের ইনিংসে। নাসিরের সাথে চতুর্থ উইকেটে ৬০ বলে ৮৯ রান যোগ কিেমথুন।
শেষ ওভারের ২৫ রানের প্রয়োজন মেটাতে পারেননি নাসির ও আরিফুল। শেষ ওভারে এবারের আসরে দ্বিতীয় অর্ধশতক পূর্ন করেন নাসির। এ জন্য বল খেছেন ৩৫টি। ৩৬ বল খেলে শেষ পর্যন্ত ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন নাসির। ৩টি চার ও ২টি ছয় মারেন তিনি। ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬০ রান করে ম্যাচ হারে ঢাকা। বরিশালের ওয়াসিম-চাতুরাঙ্গা ও জানাত ১টি করে উইকেট নেন।