বাসস
  ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১৫:৪১
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:০৮

রংপুরকে জয়ে ফেরালেন মালিক

ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩ (বাসস) : টানা দুই ম্যাচ হারের পর পাকিস্তানী শোয়েব মালিকের ব্যাটিং নৈপুন্যে জয়ের ধারায় ফিরলো রংপুর রাইডার্স।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ২১তম ম্যাচে  আজ রংপুর ৫৫ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। ৬ খেলায় ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চতুর্থ স্থানে উঠলো রংপুর। ৭ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানেই থাকলো চট্টগ্রাম।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৯ রান করে রংপুর। ৪৫ বলে ৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মালিক। জবাবে অধিনায়ক শুভাগত হোমের ৩১ বলে ৫২ রান সত্বেও ১২৪ রানে গুটিয়ে যায় চট্টগ্রাম।
ঢাকায় দ্বিতীয় পর্বে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে  টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত।
ব্যাট হাতে নেমে ২৬ রানেই ২ উইকেট হারায় রংপুর রাইডার্স। মাহেদি হাসানকে ১ ও তিন নম্বরে নামা পারভেজ হোসেন ইমনকে ৬ রানে ফিরিয়ে দেন  স্পিনার শুভাগত।
তৃতীয় উইকেট পাকিস্তানের শোয়েব মালিককে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম। কিন্তু নবম ওভারে চট্টগ্রামের শ্রীলংকান স্পিনার বিজয়কান্ত বিয়াস্কান্তর বলে থামেন নাইম। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৯ বলে ৩৪ রান করেন তিনি।
৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া  রংপুরের  হাল ধরেন মালিক ও আফগানিস্তানের আজমতুল্লাহ ওমরজাই। দ্রুত রান তুলতে চট্টগ্রামের বোলাদের উপর চড়াও হন মালিক। স্পিনার তাইজুল ইসলামের প্রথম ও তৃতীয় ওভারে ৫টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন মালিক। তাইজুলের করা  তৃতীয় ও ইনিংসের ১৪তম ওভারে ২৫ রান তুলেন মালিক। ঐ ওভারেই ২৮ বলে এবারের আসরে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি পান  মালিক। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৪তম ওভারেই ১শ রান স্পর্শ করে রংপুর।  
মালিকের অর্ধশতকের পর মারমুখী হয়ে উঠেন ওমারজাই। বিজয়কান্তর শেষ দুই ওভারে ৩টি ছয় ও ১টি চার মারেন তিনি। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে পেসার মেহেদি হাসান রানার বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ২৪ বলে ৪২ রান করা  ওমারজাই।
মালিক ওমারজাই চতুর্থ উইকেটে মালিকের সাথে ৫৩ বলে ১০৫ রান যোগ করেন।
শেষ ওভারে পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজকে ৯ ও শামীম হোসেনকে ৭ রানে শিকার করেন রানা। ৪৫ বলে ৭৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন মালিক। ৫টি করে চার-ছয় মারেন তিনি। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৯ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর।
বল হাতে চট্টগ্রামের পক্ষে ৪ ওভারে ৩৯ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রানা। ৩ ওভারে ১৩ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন শুভাগত।   
১৮০ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়ে চট্টগ্রাম। তৃতীয় ওভারের মধ্যেই  ১১ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে পাকিস্তানের উসমান খানকে ৪ রানে আউট করেন স্পিনার রকিবুল হাসান।
পরের ওভারে তৌফিক খানকে খালি হাতে বিদায় দেন পেসার ওমারজাই। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আবারও চট্টগ্রাম শিবিরে আঘাত হানেন রকিবুল। আরেক ওপেনার পাকিস্তানের খাজা নাফিকে ৬ রানে আউট করে চট্টগ্রাম শিবিরে চাপ আরো বাড়িয়ে দেন রকিবুল।
দল যখন চাপে তখন ক্রিজে গিয়েই মারমুখী হয়ে উঠেন পাঁচ নম্বরে নামা শুভগাত। পাওয়ার-প্লেতে ৩টি চার ও ১টি ছয় মারেন তিনি। অন্যপ্রান্তে আফগানিস্তানের দারউইশ রাসুলিও দ্রুত রান তুললে  ৬ ওভারে ৪৬ রান পায় চট্টগ্রাম।
অষ্টম ওভারে পেসার হাসান মাহমুদের বলে ২টি ছক্কা মারেন শুভাগত। দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হন রাসুলি। পাকিস্তানের হারিস রউফের বলে আউট হওয়ার আগে  ২১ রান করে ফিরেন রাসুলি। চতুর্থ উইকেটে শুভাগতর সাথে ৪০ বলে ৬৬ রান যোগ করেন রাসুলি।
রাসুলির বিদায়ে উইকেটে এসেই ঝড় তুলেন জিয়াউর রহমান। ১২তম ওভারে হাসানের শিকার হয়ে বিদায় নেওয়ার আগে ১২ বলে ৩ ছক্কা ও ১ বাউন্ডারিতে  ২৪ রান করেন জিয়া।
জিয়া ফেরার পর হাফ-সেঞ্চুরির দেখা পান শুভাগত। ২৭ বলে অর্ধশতক পুরন করার পর ১৪তম  ওভারের প্রথম বলে রউফের দ্বিতীয় শিকার হন শুভাগত। শেষ পর্যন্ত ৩১ বল খেলে ৪টি করে চার-ছয়ে ৩১ বলে ৫২ রান করেন তিনি।
শুভাগতর আউটে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে নির্ধারিত  ২০ ওভারই খেলতে পারেনি  চট্টগ্রাম। শেষ পর্যন্ত ১৭তম ওভারে ১২৪ রানে শেষ হয় চট্টগ্রামের ইনিংস। রংপুরের রউফ ১৭ রানে ৩টি ও রকিবুল ২৪ রানে ২টি উইকেট নেন।