শিরোনাম
ব্লুমফন্টেইন, ২৮ জানুয়ারি ২০২৩ (বাসস/ক্রিকইনফো) : ব্যাটার রাসি ভ্যান ডার ডুসেনের সেঞ্চুরির পর দুই পেসার এনরিচ নর্টি ও সিসান্দা মাগালার বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ের স্বাদ পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
গতরাতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৭ রানে হারিয়েছে বিশ^ চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে। এতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল প্রোটিয়ারা। এই জয়ে আগামী ওয়ানডে বিশ^কাপে সরাসরি খেলার টিকিট পাবার পথে ভালোভাবেই টিকে থাকলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
নিজেদের মাঠ ব্লুমফন্টেইনে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলকে ৬১ রানের সূচনা এনে দেন প্রোটিয়া দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা। তবে দু’জনের কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ডি কক ৩৭ ও বাভুমা ৩৬ রান করে ফিরেন। বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ মিডল-অর্ডার ব্যাটার আইডেন মার্করামও। ১৩ রানে থামেন তিনি।
১১৬ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর বড় জুটির দেখা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। চতুর্থ উইকেটে হেনরিচ ক্লাসেনকে নিয়ে ৫৮ বলে ৫৫ এবং পঞ্চম উইকেটে ডেভিড মিলারকে নিয়ে শতরানের জুটি গড়ে দলকে বড় স্কোর এনে দেন ডুসেন। মিলারের সাথে ১০১ বলে ১১০ রান যোগ করার পথে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরির স্বাদ নেন ডুসেন।
৪৮তম ওভারে ডুসেনকে ১১১ রানে বিদায় দেন ইংল্যান্ডের পেসার স্যাম কারান। ১১৭ বল খেলে ৬টি চার ও ১টি ছয় মারেন ডুসেন। ইনিংসের শেষ ওভারে কারানের তৃতীয় শিকার হয়ে ফিরেন ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫৬ বল খেলে ৫৩ রান করা মিলার। ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের বড় সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইংল্যান্ডের কারান ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেন।
২০২১ সালের মার্চের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে ১০ ওভার বল করে ৮১ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চার।
২৯৯ রানের বড় টার্গেটে দারুন সূচনা পায় ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে ১১৭ বলে ১৪৬ রান তুলেন জেসন রয় ও ডেভিড মালান। ৫৫ বলে ৫৯ রান করা মালানকে শিকার করে ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন এক বছর পর ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডে খেলতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার মাগালা।
এরপর মাগালা ও নর্টির জোড়া আঘাতে ১ রানে ২ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তিন নম্বরে নামা বেন ডাকেটকে ৩ রানে নর্টি ও চার নম্বরে নামা হ্যারি ব্রুককে শূন্য হাতে প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মাগালা।
অন্যপ্রান্তে সতীর্থরা উইকেট পতনের তালিকায় নাম তুললেও, ২৫তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরির দেখা পান রয়। ৭৮ বলে শতক করেন তিনি।
সেঞ্চুরির পর ব্যক্তিগত ১১৩ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদার প্রথম শিকার হন রয়। ৯১ বল খেলে ১১টি চার ও ৪টি ছয় মারেন রয়।
৩০তম ওভারে দলীয় ১৯৬ রানে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে রয়ের বিদায়ক্ষণেও ইংল্যান্ডের জয়ের পথ সহজই ছিলো। ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ২১ ওভারে ১০৩ রান দরকার ছিলো তাদের।
পঞ্চম উইকেটে জুটি বেঁধে ইংল্যান্ডকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন অধিনায়ক জশ বাটলার ও মঈন আলি। ৩৪তম ওভারে মঈনকে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচে ফেরার পথ দেখান মাগালা।
মাগালার দেখানো পথে আত্মবিশ^াসী হয়ে উঠে দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যান্য বোলাররা। দলীয় ২২২ রানে মঈনের আউটের পর ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন-আপে ধস নামান নর্টি-রাবাদারা। ৩৭ রানে শেষ ৫ উইকেট হারালে ইংলিশদের হাত থেকে ম্যাচ ফসকে যায়। ৩৪ বল বাকী থাকতে ২৭১ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। মঈন ১১, বাটলার ৩৬, কারান ১৭, আদিল রশিদ অপরাজিত ১৪ রান করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার নর্টি ৬২ রানে ৪ উইকেট নেন। মাগালা ৩টি ও রাবাদা ২টি উইকেট শিকার করেন। ম্যাচ সেরা হয়েছেন মাগালা।
আগামীকাল একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে।