বাসস
  ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৮:৫৯

খুলনার বিদায়

ঢাকা, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসরের লিগ পর্ব থেকে প্রথম দল হিসেবে বিদায় নিলো   নিলো তামিম ইকবালের খুলনা টাইগার্স। আজ আসরের ৩৩ ও নিজেদের ১০ম ম্যাচে সাকিব আল হাসানের ফরচুন বরিশালের কাছে ৩৭ রানে পরাজিত হয়ে  লিগ পর্বে নিজেদের দুই ম্যাচ বাকী থাকতেই বিদায় নিলো খুলনা। 
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক শাই হোপ।
দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয়  ও ফজলে মাহমুদের  ব্যাটিং ঝলকে ৩ ওভারে ৩০ রানের সংগ্রহ পায়  বরিশাল। তবে চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলে নেদারল্যান্ডসের পেসার পল ভ্যান ম্যাকেরেনের বলে বোল্ড হন  ১টি করে চার-ছক্কায় ৮ বলে ১৩ রান করা বিজয়।।
বিজয় ফেরার পর  মাহমুদ ও আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান চাকা সচল রেখে ৩১ বলে ৪১ রান যোগ করেন। নবম ওভারে  বাঁ-হাতি স্পিনার  হাসান মুরাদের  শিকার  হয়ে মাহমুদ ফিরলে  ভেঙ্গে যায় জুটি। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৮ বলে ৩৮ রান করেন মাহমুদ।
দলীয় রান ১০০ হবার আগে প্যাভিলিয়নে ফিরেন জাদরান। স্পিনার নাহিদুল ইসলামের প্রথম শিকার হওয়ার আগে জাদরান ২টি চারে ২৩ বলে ২৩ রান করেন ।
চার নম্বরে নেমেই মারমুখী ব্যাট করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। হাসানের করা ১১তম ওভারে ১টি করে চার-ছক্কা মারেন তিনি। ১৬তম ওভারে ২২ রান তুলেন সাকিব ও পাকিস্তানের ইফতিখার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনার মার্ক দেওয়ালের ঐ ওভারে ইফতেখার ১টি করে চার-ছক্কা ও সাকিব ১টি ছয় মারেন।
১৮তম ওভারে বিদায় ঘটে সাকিবের। ম্যাককেরেনর দ্বিতীয় শিকার হয়ে ৩৬ রানে বিদায় নেন সাকিব। ২১ বল খেলে ১টি ও ৪টি ছক্কা মারেন সাকিব। ইফতিখারের সাথে চতুর্থ উইকেটে ৩৬ বলে ৫২ রান যোগ করেন সাকিব।
সাকিবের ফেরার ওভারে বরিশাল পায় ১৬ রান। ওভারের তৃতীয় বলে আফগানিস্তানের করিম জানাত ১টি চার ও শেষ দুই ডেলিভারিতে দু’টি ছক্কা মারেন ইফতেখার।
পেসার শফিকুল ইসলামের করা ১৯তম ওভারে ২০ রান নেন ইফতেখার ও জানাত। ইফতেখার ১টি ছয় ও জানাত শেষ তিন বলে ৩টি চার মারেন। শেষ ওভারের প্রথম বলে এবারের আসরের তৃতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করেন ইফতেখার। এজন্য ৩০ বল খেলেন তিনি। একই  ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন  ৩টি চারে ৮ বলে ১৬ রান করা জানাত।  তার বিদায়ে উইকেটে এসেই চার মারেন মাহমুদুল¬াহ রিয়াদ। শেষ ওভারে ১০ রান পায় বরিশাল।  ৩১ বলে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন ২ রানে জীবন পাওয়া ইফতিখার। তার ইনিংসে ৩টি করে চার-ছয় ছিলো। খুলনার ম্যাককেরেন ৪৮ রানে ৩ উইকেট নেন।
১৯৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে  দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় খুলনা। পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে বোল্ড হন ৩ বলে ১ রান করা  তামিম ইকবাল। 
তামিমের বিদায়ে উইকেটে এসেই ঝড় তুলেন হোপ। পাওয়ার প্লেতে হোপের ১৮ বলে ৩২ রানে খুলনা পায় ৪৭ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের চতুর্থ বলে আয়ারল্যান্ডের এন্ডি ব্যালবির্নিকে ১২ রানে শিকার করেন পেসার খালেদ আহমেদ। 
চার নম্বরে নামা মাহমুদুল হাসান জয়কে রানের খাতা খোলার আগে বোল্ড করেন সাকিব। অষ্টম ওভারে হোপকে শিকার করেন খালেদ। ২৪ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৭ রান করেন হোপ। 
৫৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা। পঞ্চম উইকেটে জুটি বেঁধে দলকে চাপমুক্ত করেন ইয়াসির আলি ও নাহিদুল ইসলাম। উইকেটে সেট হয়ে রানের চাকা ঘুড়াতে থাকেন তারা। ১৫তম ওভারে ১শ রান পায় খুলনা। ১৬তম ওভারে ইয়াসিরের ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৯ রান পায় খুলনা। ১৭তম ওভারে ছক্কা মেরে ৩৪তম বলে এবারের আসরে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইয়াসির।  
জানাতের করা ১৮তম ওভারে ইয়াসির ও নাহিদুল বিদায় নেন। নাহিদুল ২৪ বলে ২৪ ও ইয়াসির ৩৮ বলে ৬০ রান করেন। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন ইয়াসির। 
দলীয় ১৪০ রানের মধ্যে ইয়াসির-নাহিদুলের বিদায়ে হার সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় খুলনার। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫৭ রান তুলে ম্যাচ হারে খুলনা। বরিশালের জানাত ২৯ রানে ৪ উইকেট নেন।
এই জয়ে ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে বরিশাল। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠস্থানে থেকে লিগ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হলো খুলনার।