শিরোনাম
নেপলস, ১ এপ্রিল ২০২৩ (বাসস/এএফপি) : জর্জিয়ার অজ পারাগায়ে খালি পায়ে ফুটবলে লাথি মারা খাবিচা কাভারসখেলিয়া এখন বিশ^ ফুটবলের অন্যতম বড় সম্পদে পরিণত হয়েছেন।
ফুটবলার বাবার পদাঙ্ক অনুসরন করে এই ফরোয়ার্ড মাত্র ১১ বছর বয়সে যোগ দিয়ে ডায়নামো টিবিলিসির একাডেমিতে পাঁচ বছর কাটিয়েছেন। বর্তমান সিরি-এ লিগে নাপোলির হয়ে একের পর এক সাফল্যে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ১৪ গোল ও ১৪ এ্যাসিস্ট করে ইতোমধ্যেই বিশে^র শীর্ষ ক্লাবগুলোর অণ্যতম আকর্ষনে পরিনত হয়েছেন।
টিবিলিসির সভাপতি লেভান সালুকাভাডে বলেছেন, ‘কেউই কখনো কল্পনা করতে পারেনি একটি পাতলা ছিমছিমে একহারা গড়নের ছেলে কোন একদিন আন্তর্জাতিক তারকা বনে যাবে।’
২০১৭ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে কাভারাসখেলিয়া জর্জিয়ার শীর্ষ লিগের ক্লাব ডায়নামোতে সিনিয়র ক্যারিয়ার শুরু করেন। সালকাভাডে বলেছেন, ‘ঐ সময় ক্লাবের কোচ শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন সিনিয়রদের সাথে খেলার মত শারিরীকভাবে সে যথেষ্ঠ ফিট নয়। ক্লাব সভাপতি চেয়েছিলেন মূল দলের সাথে যোগ দেবার আগে আরো দুই বছর অন্তত অপেক্ষা করতে। কিন্তু আমি তাকে বলেছি দুই বছরের মধ্যে কাভারাসখেলিয়া লিভারপুল কিংবা রিয়াল মাদ্রিদের মত ক্লাবে খেলার প্রস্তাব পাবে।’
তিনি আরো বলেন, ছোটবেলায় সে খুবই লাজুক ছিল, শুধুমাত্র ফুটবল ছাড়া কিছুই বুঝতো না। শৈশব থেকেই ফুটবলের প্রতি অত্যন্ত মনোযোগী ছিল। এখন পর্যন্ত ফুটবলই তার জীবনে সবকিছু। এ কারনেই সে আজ এই পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।
জীবনীকার গিওর্গি কেকেলিজে বলেছেন, পরিবারের উৎসাহেই কাভারাসখেলিয়া ফুটবলের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছিল। পশ্চিম জর্জিয়ার প্রত্যন্ত গ্রাম নাকিফুর এক ফুটবল পরিবার থেকে তার উত্থান। প্রায় প্রতিটি সাক্ষাতকারেই নিজের সব অর্জনের জন্য কাভারাসখেলিয়া পরিবারকে কৃতিত্ব দিয়েছেন। তার দাদা মামিয়া ও বাবা বাড্রি উভয়ই বেশ সফল ফুটবলার ছিলেন। আর তার দাদি ডুনিয়া ছিলেন একজন অসম্ভব ফুটবল পাগল মানুষ। সবসময়ই তার দাদী প্রার্থনা করতেন প্রতিটি ম্যাচই যেন ড্র হয়, যাতে করে কোন দলেরই মন খারাপ না হয়। কিন্তু নাপোলিতে আসার পর থেকে প্রয়াত দাদীর এই প্রার্থনা পাল্টে যায়। তখন থেকে তিনি শুধুমাত্র কাভিচার জয়ের জন্যই ঈশ^রের কাছে প্রার্থনা করেছেন।