বাসস
  ০৮ জুন ২০২৩, ১৯:৫৯

ব্যাটারদের আতঙ্কের কারন হতে চান মুশফিক

ঢাকা, ৮ জুন ২০২৩ (বাসস) : আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে বাংলাদেশ দলে জায়গা নতুন মুখ  মুশফিক হাসানের মূল লক্ষ্য  একজন পেসার হিসেবে নিয়মিত আক্রমণাত্মক ও দক্ষতাপূর্ণ বোলিং দিয়ে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের আতঙ্কের কারন হওয়া।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে যদি না কেউ ইনজুরিতে পড়ে তবে একাদশে জায়গা পাবার সম্ভাবনা খুবই কম প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পাওয়া মুশফিকের। তবে ক্যারিয়ারের শুরুতে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াকে ভবিষ্যতের জন্য অনুপ্রেরনা হিসেবে দেখছেন তিনি।
মাত্র এক বছর ধরে লাল বলের ক্রিকেট খেলছেন যুব ক্রিকেট থেকে উঠে আসা পেসার মুশফিক। এই এক বছরে নজর কেড়েছেন তিনি। মাত্র ১৩ ম্যাচে ৪৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এরমধ্যে তিনবার ইনিংসে পাঁচ উইকেট ছিলো তার।
পরবর্তীতে এইচপি দল এবং বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছেন মুশফিক। ঐ পর্যায়েও নিজেদের দক্ষতা অব্যাহত রেখে ভবিষ্যতের তারকা হবার বার্তা টিম ম্যানেজমেন্টকে দেন তিনি।
টিম ম্যানেজমেন্টের মতে, নিজের শক্তি এবং সামর্থ্য প্রদর্শন করে অন্যদের চেয়ে নিজেকে আলাদাভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন ২০ বছর বয়সী মুশফিক।
জাতীয় দলে ডাক পাবার পর আজ প্রথম সংবাদমাধ্যমের সামনে মুশফিক বলেন, ‘পেস বোলাররা সব সময় হিং¯্র মেজাজে থাকার চেষ্টা করে। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। আমার লক্ষ্য, ব্যাটারদের চমকে দেয়া এবং তাদের মধ্যে আতঙ্ক  সৃস্টি করা । কিন্তু এর মানে এই নয়, আমার লাইন এবং লেন্থের সাথে আমি আপস করবো। আমি জানি যদি সঠিক জায়গায় বোলিং করতে পারি তাহলে আরও বেশি শক্তিশালী হতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘একজন পেস বোলারের  জন্য নির্ভুলতা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং পরে পেস। আমি যথাসম্ভব দ্রুত মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করবো এবং একই সাথে সহজ এবং নির্ভুল রাখার চেষ্টা করবো।’
আজ প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে যোগ দিয়েছেন মুশফিক। গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে হয়ে খেলার সময় টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সাথে ড্রেসিংরুম শেয়ার করেছিলেন তিনি। ক্যাম্পে মুশফিককে স্বাগত জানান সাকিব।
মুশফিক বলেন, ‘ডিপিএলে খেলার সময় তার (সাকিব) কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি আমি। এটি অনেক সাহায্য করেছে। আমরা খুব বেশি কথা বলিনি। আমি যখন মাঠে খেলতাম, আমাদের পরামর্শ দিতেন তিনি। । আমি কিছু জিজ্ঞেস করলে সুন্দরভাবে উত্তর দিয়েছেন।’
এইচপি ক্যাম্পে থাকা অবস্থায় জাতীয় দলের হয়ে নেটে বোলিং করেছেন মুশফিক। তার কাজের ধরনে খুশি পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। মুশফিককে দলে নিতে সাকিব এবং ডোনাল্ড বড় ভূমিকা রেখেছেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘খুব ভালো লাগছে। আমি আজ ক্যাম্পে যোগ দিয়েছি। এর আগে অ্যালান ডোনাল্ডের সাথে কাজ করেছি। আমাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আমার প্রশংসা করেছেন তিনি। আমাকে গত বছর ধরে দেখছেন যখন আমি এইচপিতে ছিলাম। সেখানে আমি ফিটনেস এবং বোলিং নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করছিলাম। আমাকে অনেক পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।’
আক্রমণাত্মক এবং দ্রুতগতির বোলার হতে দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিড স্টার কাগিসো রাবাদাকে অনুসরণ করেন মুশফিক। পাশাপাশি বাংলাদেশের মধ্যে পেস বোলার তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেনকে অনুপ্রেরণা হিসেবে ভাবেন তিনি।
মুশফিক বলেন, ‘এখন আমি বাংলাদেশের পেস বোলারদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পাই। কিন্তু আমি রাবাদাকে অনুসরণ করি। আমি তার বোলিং পছন্দ করি।’