বাসস
  ১৭ জুন ২০২৩, ১৯:৪০

বাংলাদেশী পেসারদের প্রশংসায় ট্রট

ঢাকা, ১৭ জুন ২০২৩ (বাসস) : আফগানিস্তানের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করা পারফরমেন্স টাইগার পেসাররা অব্যাহত রাখতে পারলে যে কোন কন্ডিশনে যে কোন দলের সাথে বাংলাদেশ প্রতিন্দ্বন্দিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলতে পারবে বলে মনে করেন আফগান কোচ জনাথন ট্রট।
সিরিজের একমাত্র টেস্টে আফগানিস্তানকে ৫৪৬ রানের ব্যবধানে হারাতে বড় ভূমিকা  রেখেছে  বাংলাদেশের পেসাররা। ম্যাচে ১৪ উইকেট নেন টাইগাররা পেসাররা। সব মিলিয়ে টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় এবং এই শতাব্দীতে সর্ব বৃহত জয় পেয়েছে  বাংলাদেশ।
চার দিনেই বাংলাদেশের কাছে হেরে যাবার পর ট্রট বলেন, ‘আমি মনে করি, এটি খুবই  ভাল ও ভালো গতি ছিলো। যে ধরণের পেসার তারা পেয়েছে, তাতে ঘরে ও বিদেশের মাটিতে প্রতিন্দ্বন্দিতা করতে পারবে। এছাড়াও স্পিনে উন্নত মানের বোলাররা আছে। নিজেদের কন্ডিশনে কিভাবে ভালো খেলতে হয়, সত্যিই সেটি জানে তারা। এজন্য কৃতিত্ব তাদেরই।’
তিনি আরও বলেন, ‘অবশ্যই খুবই হতাশ (বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ হারা)। বলার মতো ভাল আমরা খেলিনি। গত ২৭ মাস কোন টেস্ট ম্যাচ খেলিনি আমরা। মাত্র চার দিন খেলোয়াড়রা দেশে ছিলো। টেস্ট ক্রিকেটে ভাল করতে প্রস্তুতির কিছু বিষয় আছে  এবং তখরই প্রতিন্দ্বন্দিতা করার আশা করা যায়।’
ট্রট জানান, বাংলাদেশের সাথে কঠিন লড়াইয়ের জন্য নিজেদের মেলে ধরতে না পারার কারনেই সাফল্য পায়নি আফগানিস্তান। 
ট্রট বলেন, ‘আমি মনে করি, প্রতিপক্ষ খুব ভাল খেলেছে এবং তারা ভালো করতে বদ্ধপরিকর ছিলো। আমরা যা চেয়েছি তা অর্জন করার চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু সেটি করতে পারিনি। দায়িত্ব নিয়ে তাদের ব্যাটাররা অনেক সময় ধরে ব্যাটিং করেছে। আমাদের দীর্ঘতম ইনিংস ছিল কেবলমাত্র রহমত শাহর। ৭০ বল খেলেছেন তিনি। একজন ব্যাটারের দায়িত্ব নিয়ে খেলা এবং ম্যাচের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করা টেস্ট ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে ভালো উদাহরন। আমার মনে হয় তাদের  স্পিনাররাও ভাল করেছে , যেমনটা আমাদের স্পিনাররা করতে পারেনি।’
২০১৯ সালে দু’দলের প্রথম টেস্টে জয় পেয়েছিলো আফগানিস্তান। ১১ উইকেট নিয়ে আফগানদের জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন এই টেস্টে বিশ্রামে থাকা রশিদ খান। রশিদের অনুপস্থিতি দলে কোন প্রভাব না ফেললেও, তার না থাকাটা দলের জন্য বড় ক্ষতি ছিলো। 
ট্রটের মতে, ম্যাচে বাংলাদেশ লড়াইয়ের মানসিকতা দেখিয়েছে,আফগানিস্তানের মধ্যে সেটির অভাব ছিলো । তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি রশিদ খানের মতো খেলোয়াড় যখন দলে থাকবে না, তখন অবশ্যই  অভাব বা ঘাটতি অনুভূত হবে। কিন্তু রশিদ না থাকায় ফলাফলের উপর কোন প্রভাব পড়েছে বলে আমি মনে করি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, লড়াই করার মত যথেষ্ট দক্ষতা আমার দলের ছিলো না। আপনার সাথে আমি একমত, আরও ভাল প্রতিন্দ্বন্দিতা হওয়া দরকার ছিলো। একটি চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত হওয়া ও মানসিকতা আরও কঠিন  হওয়া দরকার ছিলো। এটি এমন কিছু যা নিয়ে আমরা কাজ করছি।’
টেস্টের আগে প্রস্তুতি ম্যাচের উপর জোর দিয়েছেন ট্রট। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, যদি আমরা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারতাম, সেটি ভালো হতো। আমরা শ্রীলংকা ওয়ানডে খেলেছিলা এবং সেখান থেকে দলের অর্ধেক সদস্য  আফগানিস্তান ফিরে গেছে । দীর্ঘদিন ধরে প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে খেলা হয়নি। ঐ সময় বাংলাদেশে এসে অনুশীলন ও প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পারলে ভালো হতো।’
ইংল্যান্ডের সাবেক টেস্ট ক্রিকেটার ট্রট বলেন, ‘ভারতের বিপক্ষে সিরিজ খেলার কথা ছিল আমাদের।  সেটা খেলতে পারলে ভালো হতো কিন্তু হলো না। অর্থাৎ আমরা একটা ধাক্কা খেলাম। এখন আমরা ভারত যাচ্ছি। তারপর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে আবার বাংলাদেশে  আসছি।  এভাবেই সূচি  আছে। সুতরাং বাংলাদেশের বিপক্ষে  টেস্টে  খারাপ খেলার জন্য এটাও একটা কারন বলে আমি মনে করি।  আশা করছি  এখান থেকে  আমরা শিক্ষা গ্রহণ করবো।’