শিরোনাম
কিংস্টন, ৪ জুলাই ২০২৩ (বাসস) : ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠেয় আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চলমান বাছাই পর্বের বাঁধা টপকাতে পারেনি তারা। এজন্য এই প্রথমবারের মত বিশ^কাপের মঞ্চে দেখা যাবে না ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। এটা যেন ভাবতেই পারছেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। সেই দলে আছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ গর্ডন গ্রিনিজ। ভারতীয় ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে (পিটিআই) গ্রিনিজ বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ছাড়া বিশ্বকাপ অকল্পনীয়।
বিশ^কাপ সুপার লিগ পয়েন্ট টেবিলে সেরা আট দলের মধ্যেই থাকলেই সরাসরি বিশ^ মঞ্চে খেলার সুযোগ পেত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৪ ম্যাচে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নবমস্থানে থাকায় বিশ^কাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা হারায় ক্যারিবীয়রা। এজন্য বিশ^কাপ বাছাই পর্বেও লড়াইয়ে নামতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।
বাছাই পর্বে গ্রুপ পর্যায়ে ৪ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ২টিতে জিততে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু সেই দু’টি জয় শুধুমাত্র গ্রুপ পর্ব পার হতেই সহায়তা করেছে। নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে জয় এবং জিম্বাবুয়ে ও নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে যাওয়ায় সুপার সিক্সে খালি হাতে পা রাখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সুপার সিক্সে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে বিশ^কাপ খেলার আশা শেষ হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। সুপার সিক্সে বাকী দুই ম্যাচে জিতলেও টেবিলের শীর্ষ দুই দলের মধ্যে থাকতে পারবে না ক্যারিবীয়রা। এজন্য প্রথমবারের মত বিশ^কাপ খেলতে পারবে না ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ সালের চ্যাম্পিয়নরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ^কাপের মঞ্চে দেখা যাবে না, এটিই ভাবতেই পারছেন না গ্রিনিজ। তিনি বলেন, ‘ইদানীং আমি খুব বেশি ক্রিকেট দেখি না। বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেট। আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হার আমাকে কষ্ট দিতো কিন্তু এখন আর সেরকম খারাপ লাগে না। বেশ অনেক বছর ধরে আমাদের ক্রিকেটের মান পড়ে গেছে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১০৮ টেস্টে ৭৫৫৮ রান ও ১২৮ ওয়ানডেতে ৫১৩৪ রান করা গ্রিনিজ আরও বলেন, ‘হ্যাঁ, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া বিশ্বকাপ একেবারেই অকল্পনীয়। আমাদের আর নিচে নামার জায়গা বাকি নেই।’
গ্রিনিজের মত হতাশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার জোয়েল গার্নার, ‘আমরা আগে যেমন ছিলাম, এখন তেমন নেই। আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলা অনেক গর্বের ছিল। আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা ছিল। এখন তরুণ খেলোয়াড়রা টি-টোয়েন্টি লিগের প্রতি বেশি আগ্রহী। তাদেরও কোন দোষ নেই, কারণ সবাই নিজেদের নিরাপত্তার কথাই ভাবে।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৫৮ টেস্টে ২৫৯ উইকেট ও ৯৮ ওয়ানডেতে ১৪৬ উইকেট নেয়া গার্নার আরও বলেন, ‘ঐ সময় আমাদের প্রজন্মও খুব বেশি টাকা পায়নি। মূলত কাউন্টি ক্রিকেট থেকেই যা এসেছে। কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটারদের উপার্জনের অনেক উপায় আছে এবং এজন্য তাদের দোষ দেয়া যায় না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে খেলার গর্ব ফিরিয়ে আনতে হবে।’