শিরোনাম
প্রতিবেদন : মোঃ মামুন ইসলাম
রংপুর, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : একজন আত্মবিশ্বাসী তরুণ ছাত্র জীবন রহমান জিম। তার গুলিবিদ্ধ ডান চোখের ভেতরে এখনো একটি ছররা গুলি রয়ে গেছে। জীবনের পরিবারের আর্থিক সংকট চরমে। এ কারণে তিনি জানেন না, পরিবারের পক্ষে তার চোখের অস্ত্রোপচার সম্ভব হবে কি না। এখন এক ঘোর অনিশ্চয়তার মুখে জীবনসহ তার পুরো পরিবার।
চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বারবার পরামর্শ দিচ্ছেন অস্ত্রোপচারের। কিন্তু অর্থাভাবে ঢাকার ইস্পাহানি ইসলামিয়া চক্ষু ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের রেটিনা বিভাগে ছররা গুলিটি অপসারণের জন্যে জীবনের পরিবার জরুরি অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
গত ১৯ জুলাই নগরীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়ে পুলিশের গুলিতে ডান চোখের রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয় জীবনের। জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ছররা গুলিটি অপসারণ না করলে তার ডান চোখটি যে কোনো সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
ওই দিন নগরীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে জীবনের শরীরে অন্তত ১০টি রাবার বুলেট বিদ্ধ হয় এবং তিনি গুরুতর আহত হন।
নগরীর শান্তিনগর খামার এলাকায় বাসস’র সঙ্গে আলাপকালে জীবন (২৩) বলেন, তার স্বপ্ন ছিল একজন পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে পরিবারে দরিদ্র বাবা-মায়ের জন্য সম্মান, সুখ ও স্বচ্ছলতা নিয়ে আসার।
কিন্তু দরিদ্র পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণে তার স্বপ্নের সাথে জীবনের ঘটনাপ্রবাহগুলি মসৃণভাবে যায়নি। তার ডান চোখ এখন স্থায়ীভাবে অকার্যকর হওয়ার পথে।
রংপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (বাণিজ্য বিভাগ) পাস করার পর তিনি শহরের লালবাগ এলাকার রংপুর কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন।
২০২১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (বাণিজ্য বিভাগ) পাস করার পর তিনি অনার্স কোর্সে রংপুর সরকারি কলেজে ভর্তি হন। বর্তমানে তিনি সেখানে অনার্স (হিসাববিজ্ঞান) দ্বিতীয় বষের্র একজন ছাত্র। জীবন বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে। তার একমাত্র বোন রাবেয়া বাসরি (১৩) শহরের সমাজ কল্যাণ বিদ্যা বীথি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে জীবনের বাবা রবিউল ইসলাম শান্তিনগর খামার এলাকায় ছোট্ট একটি পানের দোকান চালান। তার মা জামিলা বেগম একজন গৃহিণী।
পাঁচ সদস্যের পরিবারে আর্থিক সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও রবিউল ও জামিলা তাদের ছেলে, মেয়ে এবং রবিউলের বিধবা মা রানু বেগমকে (৮৫) নিয়ে সুখী জীবন যাপন করছিলেন।
ছেলে জীবন ও মেয়ে রাবেয়াকে সুশিক্ষিত করে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার একমাত্র স্বপ্ন ছাড়া তাদের আর কোনো উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না।
জীবন বলেন, ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতিকে মুক্ত করতে জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে তিনি নিয়মিতভাবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিচ্ছিলেন।
গত ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী শহিদ আবু সাঈদকে পুলিশ গুলি করে হত্যার পর দেশের অন্যান্য জায়গার মতো রংপুরেও পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ রূপ ধারণ করে।
জীবন বলেন, ১৯ জুলাই বিকাল ৩টার দিকে, রংপুর জিলা স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে শত শত শিক্ষার্থীর সাথে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মিছিলে যোগ দিতে তিনি বইপুস্তক ভর্তি কলেজব্যাগ ঝুলিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে একটি রিকশা ভাড়া করেন।
জিলা স্কুল সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছে জীবন দেখতে পান যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মিছিলে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করছিল।
নিরাপত্তার জন্য তিনি কাছাকাছি এলাকায় যান এবং আরেকটি রিকশা ভাড়া করে শহরের গ্র্যান্ড হোটেল মোড় এলাকায় আসেন।
এ সময় রংপুর নগরীর অন্যান্য স্থানের মতো বিএনপি কার্যালয়ের পাশে গ্র্যান্ড হোটেল মোড় এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণ আন্দোলনের মিছিলে হাজার হাজার মানুষ এসে যোগ দেয়।
তিনি বলেন, ‘আমি বিকাল ৪টার দিকে গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপি, ছাত্র ও সাধারণ মানুষের বিশাল চলন্ত মিছিলে যোগ দিয়ে মিনি সুপার মার্কেট অফিস, সিটি মার্কেট ও জেলা পরিষদ কার্যালয় হয়ে মিছিল করি।’
তিনি বলেন, এ সময় রংপুর পুলিশ লাইন্স ব্যারাক থেকে শত শত সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সিটি করপোরেশন কার্যালয়, রাজা রাম মোহন মার্কেট, সুপার মার্কেট ও পায়রা চত্বর এলাকার দিকে সহিংসভাবে ছুটে আসে।
জীবন বলেন, ‘পুলিশ রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও গুলি ছুঁড়তে থাকে এবং সেখানে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সশস্ত্র ক্যাডাররা ছাত্র, রাজনৈতিক কর্মী ও সাধারণ মানুষের মিছিলে ব্যাপক হামলা চালায়।’
পরিস্থিতির তীব্রতা বুঝতে পেরে জীবন দ্রুত নিকটবর্তী সদর হাসপাতাল জামে মসজিদে প্রবেশ করেন। তখন মসজিদের ইমাম দরজা বন্ধ করে দেন যাতে পুলিশ ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে।
জীবন আরো বলেন, ‘পুলিশ ও জনতার মধ্যে গুলি ও পাথর ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু হলে সেখানে মারাত্মক এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আমি পেছনে সরে মসজিদের পূবের দরোজা দিয়ে বের হয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের মন্দিরের কাছে শিশু হাসপাতালের দিকে যাই।’
পুলিশ বাহিনী শীঘ্রই পুরো এলাকাটি ঘিরে ফেলে। সেখানে অনেক লোক পুলিশের গুলি ও গ্রেফতার এড়াতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
এ সময় জীবন রংপুর মহানগরীর হারাগাছ এলাকার ১০ থেকে ১২ বছর বয়সী এক কিশোরকে শিশু হাসপাতালের কাছে উরুতে পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে বিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখেন।
জীবন বলেন, ‘বিকাল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে হরিজন সম্প্রদায়ের মন্দিরের সামনে অতি কাছ থেকে পুলিশ আমাকে লক্ষ্য করে অন্তত ১০টি রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এসব বুলেট আমার মাথা, হাত ও শরীরের অন্যান্য অংশে বিদ্ধ হয়। এ সময় আমার কলেজ ব্যাগটি সামনে বুকে ঝুলানো থাকায় ছররা গুলিগুলি আমার বুকে বিদ্ধ হতে পারেনি। আমার পুরো শরীর রক্তাক্ত হয়ে যায় ।’
এ সময় তার পাশে থাকা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কারমাইকেল কলেজের ছাত্র আবু বকর সিদ্দিক (২৬) স্থানীয়দের সহায়তায় আহত জীবনকে উদ্ধার করে রিকশাযোগে শাপলা চত্বর মোড়ে পাঠায়।
জীবন বলেন, ‘রিকশায় করে শাপলা চত্বর মোড়ে যাওয়ার সময় আমি মাকে মোবাইল ফোনে জানাই যে আমাকে পুলিশ গুলি করেছে। মা আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কেন আমি আমার জীবনের ঝুঁকি নিয়েছি...আমি তোমার কাছে আসছি আমার ছেলে...চিন্তা করো না এবং ধৈর্য ধরো ইত্যাদি...।’
দ্রুতই মা জামিলা বেগম আমার খালা ইসমত আরা আলোকে সাথে নিয়ে শাপলা চত্বর মোড়ে এসে নিরাপত্তাজনিত কারণে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (আরপিএমসিএইচ) আমাকে না নিয়ে শহরের ধাপ মেডিকেল এলাকায় আরপিএমসিএইচ-এর পাশে ডা: আব্দুল হাকিমের বাসায় নিয়ে যান।
জামিলা বলেন, ‘নিরাপত্তার কারণে এবং পুলিশি হয়রানি এড়াতে ডাঃ হাকিম আমাদেরকে আরপিএমসিএইচে না গিয়ে দর্শনার প্রাইভেট সেক্টর দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশনে যাওয়ার পরামর্শ দেন।’
তিনি বলেন, ‘বিকেল সাড়ে ৫টায় রিকশায় করে সেখানে যাওয়ার পর আমরা দেখতে পেলাম যে, বুলেটে আহত অনেক মানুষের ভিড় এবং পুলিশি হয়রানির শিকার এড়াতে দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশনও বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।’
আর কোনো বিকল্প উপায় খুঁজে না পেয়ে জামিলা বেগম তার ছেলে জীবনকে আরপিএমসিএইচে নিয়ে গিয়ে সন্ধ্যা ৬টার পর সেখানে ভর্তি করেন।
জামিলা বলেন, ‘ডাঃ হাবিব আরপিএমসিএইচ-এ অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে আমার ছেলের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করেন এবং নার্স ও ইন্টারনি ডাক্তাররাও বাইরে থেকে ওষুধ সংগ্রহের জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।’
জীবন বলেন, ‘ডাক্তার আমার শরীর থেকে মাত্র একটি রাবার বুলেট বের করে দিতে পারলেও বাকি নয়টি গুলি ভিতরে থেকে যায়। ঐগুলোর মধ্যে আমি স্পষ্টতই এখন পাঁচটি ছররা অনুভব করছি। একটি ডান চোখের ভেতরে থাকায় সেখানে আমি সর্বদাই যন্ত্রণা ভোগ করছি।’
বি-স্ক্যান ও এক্স-রে করার পর ডাঃ হাবিব পরের দিন (২০ জুলাই) জীবনকে আরপিএমসিএইচ থেকে ছেড়ে দেন এবং পরবর্তী চিকিৎসার জন্য দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশন বা রংপুর শহরের গ্লোবাল হাসপাতাল বা নামিরা হাসপাতালে বা ঢাকায় যাওয়ার পরামর্শ দেন।
জামিলা বলেন, ‘আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে আমি আমার ছেলেকে ২৩ জুলাই ঢাকার জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসা নেওয়ার পর জীবনকে আরও চিকিৎসার জন্য ১৫ দিন পর আবার সেখানে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ৩০ জুলাই ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অপথালমোলজি অ্যান্ড হাসপাতাল থেকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে ১৫ দিন পর জীবনকে সেখানে নিতে পারিনি। এক মাস পর আগস্টের শেষের দিকে, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে ফোনে জীবনকে সেখানে গিয়ে একজন নেপালি মহিলা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করতে বলে।’
জামিলা বলেন, ‘আমি আবারো টাকা ধার করে জীবনকে সেখানে নিয়ে যাই। তখন নেপালি ও স্থানীয় চিকিৎসকরা আবার পরীক্ষা করেন, চোখের ভেতরসহ শরীরে বেশ কয়েকটি ছররা গুলি দেখতে পান। তারা ১৫ দিন পর আবার সেখানে যাওয়ার পরামর্শ দেন।’
জীবনের মা আরো বলেন, ‘কিন্তু, চরম আর্থিক অনটনের কারণে জীবনকে আমরা আজ অবধি আর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে নিতে পারিনি। কখনও কখনও, জীবন তার ডান চোখে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে আমরা তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
তিনি বলেন, ‘জীবনের জন্য ওষুধ কেনা, চেক-আপ করা এবং আমাদের ছেলে ও মেয়ের লেখাপড়া ও প্রাইভেট টিউশনের জন্য মাসে ১৫ হাজার টাকার মতো খরচ মেটানো এখন আমাদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে।’
জীবনের বাবা রবিউল ইসলাম জানান, ছেলের চিকিৎসার জন্য তার চার লাখ টাকা ও যা ছিল সবই খরচ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, ‘আমার স্ত্রী আত্মীয়দের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ধার নিয়েছেন। বর্তমানে আমাদের ছেলের চিকিৎসা করার আর কোনো সামর্থ্য নেই।’
তিনি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার ছেলের ডান চোখ থেকে ছররা গুলিটিসহ সকল পেলেট অপসারণের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আকুল আহ্বান জানান।
রবিউল আরো বলেন, ‘এখন পর্যন্ত রংপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম মিজু ঘটনার পরপরই ১০ হাজার টাকা এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক মোঃ ময়নুল ইসলাম গত ২৬ জুলাই ২৫ হাজার টাকা দান করেন ।
জীবন বলেন, ‘আমার ডান চোখের রেটিনা গুলির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ডাক্তাররা জানিয়েছেন। চোখটি বাঁচানোর জন্য পেলেটটি অবিলম্বে অপসারণ করা উচিত। সম্প্রতি যখন আমার ডান চোখ লাল হয়ে যায় এবং সেখান থেকে ঘন তরল বের হতে শুরু করে তখন আমি চরম ব্যথা অনুভব করি।’
জীবন তার ডান চোখের চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সারজিস আলমের সাথে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে ঢাকায় যেতে পারছেন না বলে জানান।
দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশনের সার্জিক্যাল ও মেডিকেল ভিট্রিও রেটিনার সহকারী অধ্যাপক এবং বিশেষজ্ঞ ডাঃ রেজওয়ানুল হাসান এবং রংপুরের সামিরা হাসপাতালের ফাকো ও রেটিনা সার্জন ডাঃ মোঃ শামসুজ্জামান জীবনকে অবিলম্বে ঢাকার ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের রেটিনা বিভাগে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দিয়েছেন।