বাসস
  ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩৬

ফেব্রুয়ারিতেও সেন্টমার্টিনে যাওয়ার অনুমতি চান পর্যটন ব্যবসায়ীরা

ফাইল ছবি

ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): ফেব্রুয়ারি মাসেও সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াত ও রাত্রিযাপনের অনুমতি চেয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘সেন্টমার্টিন'স দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট’ এর ব্যানারে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনের জানানো হয়, গত নভেম্বরে সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। কিন্তু ওই সময় ট্রাভেল পাস নিয়ে জটিলতাসহ নানা কারণে সেন্টমার্টিনে পর্যটকরা যেতে পারেননি। ডিসেম্বর থেকে পর্যটকরা যেতে পারলেও অনেকে ট্রাভেল পাস নিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতার মধ্যে পড়ছে। 

এতে আরও বলা হয়, আগামী মার্চে রমজান মাস শুরু হবে। এর আগে ফেব্রুয়ারি ভ্রমণের মোক্ষম সময়। এই বিবেচনায় স্থানীয় জনগণ, শ্রমিক কর্মচারী ও দিনমজুর এবং পর্যটন ব্যবসায়ীদের স্বার্থে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়াত ও রাত্রিযাপনের জন্য উন্মুক্ত করার দাবি জানান তারা।

তারা বলেন, পর্যটন দুই তিন মাস হলেও সারা বছর এর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করতে হয়। শুধু ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এই দুই মাসের আয় দিয়ে এক বছরের ব্যয় মেটানো সম্ভব নয়।  

সংবাদ সম্মেলনের সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষণ উন্নয়ন জোটের চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশী লিখিত বক্তব্যে এসব কথা জানান।

সভায় সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রতিবছর ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পর্যটন যাতায়াত করলেও এ বছর পরিবেশ মন্ত্রণালয় থেকে পর্যটন সীমিতকরণের আদেশ জারি করা হয়। 

এতে বলা হয়, নভেম্বর মাসে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যেতে পারবে কিন্তু রাত্রিযাপন করতে পারবে না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি এই দুই মাস দুই হাজার পর্যটক যেতে পারবেন ও রাত্রিযাপন করতে পারবে। 

তবে ফেব্রুয়ারি মাসে পর্যটকরা সেন্টমার্টিন যেতে পারবেন না। আমরা এ সময়টা ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি। 

সংবাদ সম্মেলনে সেন্টমার্টিন ক্রুজ জাহাজ মালিকদের নেতা আটলান্টিক জাহাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব), ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা, সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সমিতি, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সেন্টমার্টিন, ই-ট্যুরিজম এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ট্যাব), সেন্টমার্টিন দোকান মালিক সমিতি, বোট মালিক সমবায় সমিতি, মৎসজীবি মালিক সমিতি, বাংলাদেশ স্লিপার এসি বাস মালিক সমিতি, জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি-ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।