শিরোনাম
নাটোর, ১ এপ্রিল ২০২৫ (বাসস) : ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে তাপদাহ উপেক্ষা করে দর্শনার্থী সমাগমে মুখর হয়ে উঠেছে উত্তরাঞ্চলের ‘গভর্মেন্ট হাউস’ খ্যাত ‘উত্তরা গণভবন’। গতকাল ঈদের দিন বিকেলে পাঁচ হাজার দর্শনার্থী উত্তরা গণভবন পরিদর্শন করেন। আজ ঈদের দ্বিতীয় দিনে প্রায় দ্বিগুণ দর্শনার্থী সমাগম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উত্তরা গণভবনে বেড়াতে আসা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসমাউল হুসনা বাসসকে বলেন, তাপদাহ থাকলেও গণভবনের আঙিনা অনেক প্রশান্তির। দুষ্প্রাপ্য বৃক্ষরাজি, ফুল আর পাখির কুজন মন ভরিয়ে দেয়। এই ঈদে পারিজাত ফুল ফুটে বাড়তি আনন্দ দিচ্ছে আমাদের।
চট্রগ্রাম থেকে আসা রাস্ট্রচিন্তা জার্নালের সম্পাদক আর রাজী বলেন, ভয়শূন্য পরিবেশ বিরাজ করছে বলে মনে হয়। তাই দর্শনার্থীদের ব্যাপক পদচারণা।
উত্তরা গণভবনের হিসাব সহকারী নুর মোহাম্মদ জানান, ঈদের দিন উত্তরা গণভবন বেলা আড়াইটা থেকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। তিন ঘন্টায় পাঁচ হাজার দর্শনার্থী টিকেট কেটে গণভবনে প্রবেশ করেন। আজ সকাল দশটা থেকে গণভবন খুলে দেয়া হয়েছে। আজ অন্তত: আট হাজার দর্শনার্থী গণভবন পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উত্তরা গণভবনের সহকারী ব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার জানান, প্রতিদিন গড়ে এক হাজার দর্শক উত্তরা গণভবন পরিদর্শন করেন। তবে শীতকালে পিকনিকের মৌসুমে এবং দুই ঈদে দর্শক সমাগম বৃদ্ধি পায়। এবার ঈদ উপলক্ষে দর্শকদের আগমন অনেক বেশি।
নাটোরের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোঃ একরামুল হক বলেন, উত্তরা গণভবনসহ জেলার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানগুলোতে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
নাটোরের জেলা প্রশাসক ও গণভবন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আসমা শাহীন বলেন, দর্শনার্থীদের সুবিধা নিশ্চিত করতে সব ধরণের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
উত্তরা গণভবন আঠারো শতকে নির্মিত দিঘাপাতিয়া মহারাজাদের বাসস্থান। এটি দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ী নামেও পরিচিত। নাটোর শহর থেকে প্রায় ২.৪ কি:মি: দূরে প্রাসাদটি অবস্থিত। বর্তমানে এটি উত্তরা গণভবন বা উত্তরাঞ্চলের গভর্মেন্ট হাউস নামে পরিচিত। ১৯৭২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি দিঘাপাতিয়া রাজবাড়ীকে উত্তরা গণভবন নামকরণ করা হয়।