শিরোনাম
ঢাকা, ৯ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস): বাংলাদেশ রেসরকারি খাত ওয়ার্কিং কমিটি (বিপিএসডব্লিউসি) বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে পাঁচটি কৌশলগত ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সদ্য প্রতিষ্ঠিত বিপিএসডব্লিউসি থিম্যাটিক গ্রুপ বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
আজ নগরীর একটি হোটেলে বিপিএসডব্লিউসি’র প্রথম বৈঠকে এফবিসিসিআই সভাপতি ও বিপিএসডব্লিউসির চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন থিম্যাটিক এবং কৌশলগত অগ্রাধিকার এসডিজি ওয়ার্কিং গ্রুপগুলো ঘোষণা করেন।
গ্রুপগুলো হলো- অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন; সুষম মানব উন্নয়ন ও কল্যাণ; টেকসই, স্বাস্থ্যকর ও সহিষ্ণু পরিবেশ; রূপান্তরমূলক, অংশগ্রহণমূলক অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসন; এবং জেন্ডার সমতা ও লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতার অবসান।
বিপিএসডব্লিউসি’র প্রথম বৈঠকে বক্তৃতাকালে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বিইএফ ও এফবিসিসিআই’র অন্যান্য সদস্য সংস্থার সাথে নিয়ে স্টেকহোল্ডারদের সাথে আলোচনা করে এফবিসিসিআই বাংলাদেশে একটি টেকসই সবুজ ব্যবসা পরিবেশের প্রণোদনা দান এবং সক্ষমতা প্রতিষ্ঠায় পলিসি অ্যাডভোকেসির ক্ষেত্রে সরকারের সাথে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়া এটি বাণিজ্য সহজীকরণ ত্বরান্বিত করতে এবং সরকারের সাথে সমন্বয় সাপেক্ষে দেশে ও বিদেশে আলোচনার জন্য কৌশলগত নীতি সহায়তা প্রদানে নিযুক্ত রয়েছে।
এফবিসিসিআই সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বিপিএসডব্লিউসি এসডিজি ২০৩০-এ অত্যন্ত স্পষ্টভাবে প্রাক্কলিত জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের প্রচেষ্টাকে আরও সংহত ও সমন্বিত করবে।
মো জসিম উদ্দিন বলেন, এফবিসিসিআই ইতোমধ্যে মানবসম্পদ ও লজিস্টিক সহায়তায় বিপিএসডব্লিউসির জন্য সেক্রেটারিয়াল সার্ভিস সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে। বিইএফও একই কাজ করছে। আমরা সরকার ও ইউএনআরসি থেকে এ বিষয়ে সমস্ত সহায়তা ও সহযোগিতাকে স্বাগত জানাই।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়েন লুইস বৈঠকে তার উদ্বোধনী বক্তব্যে অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ প্রাইভেট সেক্টর ওয়ার্কিং কমিটির এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ সভা এবং বেসরকারি খাতের সম্পৃক্ততা বাড়াতে এবং টেকসই উনয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা অর্জনের প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করতে পরিকল্পিত এর পাঁচটি নতুন থিম্যাটিক এসডিজি ওয়ার্কিং গ্রুপকে স্বাগত জানাই।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়ন পরিবর্তন আনতে বেসরকারি খাতের গুরুত্ব¡পূর্ণ ভূমিকার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশে ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সরকারকে সহায়তায় বেসরকারি খাতের উদ্ভাবন, সহযোগিতা ও আর্থিক সহায়তা অপরিহার্য।
এফবিসিসিআই সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, এই উদ্যোগের তাৎপর্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমরা মধ্যম আয়ের অর্থনীতিতে উত্তরণের পর্যায়ে পৌঁছেছি।
এই রূপান্তর নতুন চ্যালেঞ্জ এবং দায়িত্ব নিয়ে আসে এবং এসডিজি-কেন্দ্রিক উদ্যোগসমূহ এই রূপান্তর মোকাবেলায় সহায়তা করবে।
টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডার অগ্রগতি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ সরকার, জাতিসংঘের পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোর সাথে একত্রে কাজ করার জন্য দেশের বেসরকারি খাতকে সহায়তায় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
এই কমিটি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, যুব কর্মসংস্থান, এবং একটি সুন্দর কর্ম পরিবেশ গড়ে তোলা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মতো বিষয়গুলোত ফোকাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন, বিপিএসডব্লিউসি’র কো-চেয়ারম্যান ও বিইএফ-এর সভাপতি আর্দাশির কবির এবং এসডিজি’র সাবেক প্রধান সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।