শিরোনাম
ঢাকা, ২৭ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস): খুচরা পর্যায়ে ডাবের মূল্য কারসাজি বন্ধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাজার তদারকি শুরু করেছে। এর অংশ হিসেবে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে মূল্য স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত কঠোর তদারকি অব্যাহত রাখার জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেছে সংস্থাটি।
রোববার সংস্থার মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বাসসকে বলেন, ‘ডাব কেনাবেচায় কোন রকম ক্রয়-বিক্রয় রশিদ রাখা হয় না। এ সুযোগে ডাবের আড়তে এবং পাইকারী ও খুচরা প্রতিটি স্তরে মূল্য বৃদ্ধির উৎসব চলছে। আমরা ইতোমধ্যে সারাদেশে এর বিরুদ্ধে কাজ শুরু করেছি। এর প্রভাবে ডাবের মূল্য কমতে শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ডাবের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১০০ টাকার মধ্যে না আসা পর্যন্ত বাজার তদারকি অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, পাইকারী পর্যায়ে ডাবের সর্বোচ্চ মূল্য প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৭০ টাকা। সুতরাং খুচরা পর্যায়ে সবচেয়ে ভালো মানের ডাব ১০০ টাকার বেশি হতে পারে না। কিন্তু বর্তমানে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত ডাব বিক্রি হচ্ছে। ডাব ব্যবসায়ীদের অনৈতিক অতি মুনাফা কোন যুক্তিতেই গ্রহণযোগ্য নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সফিকুজ্জামান বলেন, ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ডাবের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ডাব ব্যবসায়ীরা অনৈতিকভাবে দাম বৃদ্ধি করছে। অতিরিক্ত দামে ডাব বিক্রির অভিযোগে দেশের কয়েকটি জায়গায় ব্যবসায়ীদের ইতোমধ্যে জরিমানা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এছাড়া ব্যবসায়ীদের সঠিক মূল্যে ডাব বিক্রি ও ভাউচার সংরক্ষণ করতে সতর্ক করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
আগামীকাল রাজধানীর কারওয়ানবাজার ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে যৌক্তিক মূল্যে ডাব ক্রয়-বিক্রয় বিষয়ে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করেছে সংস্থাটি। সেখানে অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা উপস্থিত থাকবেন। এদিকে, ডাবের মূল্য নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যমকে বস্তুনিষ্ঠ এবং অনুসন্ধানীমূলক সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে সহযোগিতা প্রদানের জন্য আহবান জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।