শিরোনাম
ঢাকা, ৫ অক্টোবর, ২০২৩ (বাসস) : বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের রাফাহ নানজেবা তোরসার সঙ্গে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলেছে।
এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ-এর সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ৫০ বছরের একটি ঘটনাবহুল যাত্রায়, বাংলাদেশ বিশ্বে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান অর্জনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে, বাংলাদেশ সম্পর্কে সেকেলে ও ভুল ধারণা এখনও রয়ে গেছে। প্রায়শই এক নেতিবাচকভাবে চিত্রিত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সময় এসেছে এসব উপলব্ধিগু পাল্টে আমাদের অর্জন, শক্তি ও অপার সম্ভাবনার সত্যিকারের প্রতিফলনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সেকেলে, নেতিবাচক ভাবমূর্তি প্রতিস্থাপন করার।
ফারুক বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে পরিচিত। তবে আমাদের দেখানোর মতো আরও অনেক কিছু আছে। আমি প্রত্যেক বাংলাদেশিকে এগিয়ে আসার এবং নিজ নিজ অবস্থান থেকে বাংলাদেশকে সর্বোত্তম আলোকে উপস্থাপন করার প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানাই।
মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ রাফাহ নানজেবা তোরসা আজ উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে দেশ ও বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে এবং কার্যকরভাবে তৈরি পোশাক শিল্পের প্রচারে তারা কীভাবে বিজিএমইএর সঙ্গে আরও সহযোগিতা করতে পারেন তা নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি ভারতের লাদাখে লাদাখ ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাশন রানওয়েতে বাংলাদেশ এবং এর তৈরি পোশাক শিল্পের প্রতিনিধিত্ব সম্পর্কে বিজিএমইএ সভাপতিকে অবহিত করেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯,০২৪ ফুট উচ্চতায় বিশ্বের সর্বোচ্চ গাড়ি চলাচলযোগ্য সড়কে অনুষ্ঠিত এ আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শোটি ‘গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস’-এ স্থান করে এক বিরল বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।
মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ রাফাহ নানজেবা তোরসা গর্বের সঙ্গে এই মর্যাদাপূর্ণ ইভেন্টে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তোরসার এই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বাংলাদেশের জন্য ফ্যাশন শিল্পে প্রথম গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।
তোরসা লাদাখে ফ্যাশন শোতে অংশ নেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বিজিএমইএকে ধন্যবাদ জানান। লাদাখের ফ্যাশন রানওয়ের জন্য বিজিএমইএ তোরসাকে জামদানি ও মসলিনের মতো বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী সামগ্রীর সঙ্গে বিশেষভাবে ডিজাইন করা কিছু ফ্যাশনওয়্যর মিশ্রিত ফ্যাশন শো উপহার দিয়েছে।
তিনি বলেন, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের অংশ এ আন্তর্জাতিক ফ্যাশন রানওয়েতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে আমি অত্যন্ত গর্বিত। বিজিএমইএ’র সহযোগিতার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। এটি আমাকে গর্বের সঙ্গে ফ্যাশন রানওয়েতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে সহায়তা করেছে এবং অনুপ্রাণিত করেছে।
বিজিএমইএ ১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি (ডব্লিউএমইউ) সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় রাফাহ নানজেবা তোরসাকে সমর্থন করে, যা আন্তর্জাতিক শান্তি বর্ষে জাতিসংঘের স্বীকৃতি উদযাপন ও প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠিত সিউল ভিত্তিক সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতায় রাফাহ নানজেবা তোরসা ১০৮টি দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে বাংলাদেশ ও বিজিএমইএর জন্য গৌরব বয়ে আনেন।