শিরোনাম
ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): বৈদেশিক মুদ্রার সামঞ্জস্যপূর্ণ বিনিময় হার নির্ধারণ করা গেলে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়ে যাবে বলে মনে করেন গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান। এর ফলে দেশে ডলার সংকট দূর হওয়ার পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
তিনি বলেন, ‘মার্কিন ডলারের প্রকৃত বিনিময় হার নির্ধারণ না করা গেলেও তার কাছাকাছি একটা হার যদি নির্ধারণ করা যায়, তাহলে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়ে যাবে। ডলারের দাম বাড়ার আশায় প্রবাসীরা রেমিটেন্স প্রত্যাশামত পাঠাচ্ছেন না। কিন্তু যখন ডলারের একটা নির্দিষ্ট দাম নির্ধারণ করা হবে, তখন তাঁরা নিজের হাতে ডলার আর ধরে রাখতে চাইবে না। এতে রেমিটেন্সের পরিমাণ বেড়ে যাবে। যা বৈদেশিক মুদ্রা ও রিজার্ভ পরিস্থিতি উন্নয়নে সহায়ক হবে।’
তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় মেয়াদের মুদ্রানীতিতে নেওয়া কৌশল ‘ক্রোলিং পেগ’ পদ্ধতি ব্যবহার করে ডলার পরিস্থিতি ও রিজার্ভ এর উন্নতি করা সম্ভব নয়। এর জন্য তিনি বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ‘শক থেরাপি’ বা সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
বুধবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সিএ ভবনে দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) আয়োজিত ‘মুদ্রানীতি (জানুয়ারি-জুন),২০২৪’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় মোস্তাফিজুর রহমান এসব কথা বলেন।
আইসিএবির সভাপতি মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মজিদ, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি আশরাফ আহমেদ, আইসিএবি’র সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন আহমেদ ও শাহাদাত হোসেন, পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) সিনিয়র অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান, গবেষণা সংস্থা ‘বিল্ড’ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হোসেন আরা বেগম এবং বিজনেস ডেইলি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এর ডেপুটি এডিটর সাজ্জাদুর রহমান।
আইসিএবির সাবেক সভাপতি মো. হুমায়ুন কবীর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. শামসুল আলম মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কৃষিজাত পণ্যের উপর গড় ট্যারিফ কমানোর সুপারিশ করেন।
এমসিসিআই সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান বলেন, বৈশ্বিক পর্যায়ে তেলসহ অন্যান্য পণ্যের দাম কমে গেলেও আমরা এর সুবিধা নিতে পারছি না। কারণ আমাদের এখানে টাকা ৩০ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। তিনি খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ ও অর্থনীতিবিদ আশিকুর রহমান টাকা ছাপিয়ে ব্যাংকগুলোকে যে ধার দেওয়া হচ্ছে, তাঁর সমালোচনা করেন। কেন্দ্রিয় ব্যাংকের এ ধরনের কর্মকান্ড মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তারা।