বাসস
  ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:২৩

কর্পোরেট করহার কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে এমসিসিআই

ঢাকা, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস): আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কর্পোরেট করহার কমানোর প্রস্তাব করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (এমসিসিআই)।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও রাজস্ব ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত প্রাক বাজেট আলোচনায় সংগঠনের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়।
প্রস্তাবনায় এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি. রহমান বলেন, বিগত অর্থবছরে কিছু  শর্ত সাপেক্ষে প্রায় সকল ক্ষেত্রে কর্পোরেট কর হার ২ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। তবে বর্তমান বাস্তবতায় হ্রাসকৃত কোম্পানী করহার সুবিধা কেউই ভোগ করতে পারছে না। অর্থ আইন, ২০২৩ অনুযায়ী নগদ লেনদেনের শর্তাবলীর প্রযোজ্যতার কারণে হ্রাসকৃত কর হার সুবিধা নেওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই শর্ত বাতিল করা জরুরি। 
কামরান টি. রহমান বলেন, বাস্তবে এই কর্পোরেট করহার পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ হলেও তা ক্ষেত্র বিশেষে ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হয়ে যায়।
এমসিসিআই সভাপতি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে সম্পূর্ণভাবে বের হয়ে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে যাচ্ছে। এই বাস্তবতায় আয়কর হার, ভ্যাট হার, সম্পূরক কর, শুল্কহার সহ কাস্টমস ডিউটিসমূহ পুনর্বিন্যাস করা আবশ্যক।
তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সরকার অটোমেশনে জোর দিচ্ছে। তবে অনলাইন ভিত্তিক আয়কর রিটার্ন যাচাইকরণ ব্যবস্থায় আয়কর রিটার্ণ জমাদান নথি নং এবং তারিখ অন্তর্ভূক্ত করা গেলে এই ব্যবস্থা আরও ফলপ্রসূ হবে।
এমসিসিআই একই সঙ্গে ভ্যাট রিটার্ন জমা ই-ইনভয়েসিং, কর নির্ধারণ ব্যবস্থা, আপীল, ট্রাইব্যুনাল, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পর্যায়ে প্রচলিত আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনয়নপূর্বক অনলাইনে শুনানী গ্রহণের বিধান প্রবর্তন করা, ৪৩টি ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমাদানের প্রমাণপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব দিয়েছে। 
সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, অর্থনীতিতে সবসময় একটা চ্যালেঞ্জ থাকবে। সবসময় আমরা একটা সুন্দর পরিবেশ আশা করতে পারি না। বিগত কয়েক বছরে প্রায় ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ কর্পোরেট করহার কমানো হয়েছে। যৌক্তিকভাবে বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, অটোমেশন লাগবে, এর কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সবপক্ষের সহযোগিতা প্রয়োজন। তবে রাতারাতি সবকিছু করে ফেলা সম্ভব নয়। এজন্য সময় লাগবে।