শিরোনাম
ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ (বাসস) : দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধা থেকে গত পাঁচ বছরে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ২৩৫ কোটি ৯২ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
গত অর্থবছরে (২০২২-২০২৩) এ স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৪ কোটি ৭ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বেশি। এছাড়া, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে এ বন্দর থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৪ কোটি ৭ লাখ টাকা, যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে রাজস্ব আদায় হয় ৬১ কোটি ১৪ লাখ টাকা- যা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় দ্বিগুণ।
অন্যদিকে ২০১৯-২০২০ ও ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে এ বন্দর থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে যথাক্রমে ২১ কোটি ৬৪ লাখ ও ২৫ কোটি ৭৩ হাজার টাকা।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় স্থলবন্দর। ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে বিপুল সম্ভাবনা জাগিয়েছে এই বন্দর। গত কয়েক বছরে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এর ফলে আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় পাথর। পাথর ছাড়াও মেশিনারিজ, ডাল, চাল, ভুট্টা, প্লাস্টিক, দানা ও আদাসহ বিভিন্ন পণ্য এ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়। এই স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে- আলু, ব্যাটারি, কোমল পানীয়, গার্মেন্টস সামগ্রী, ক্যাপ, সাবান, বিস্কুট, চানাচুর, জুস, কাচ, পাট ও পাটজাত পণ্য প্রভৃতি।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের মাধ্যমে নেপালের সঙ্গে প্রথম ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু হয়। এরপর ২০১১ সালে এ বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে শুরু হয় ব্যবসা-বাণিজ্য। ২০১৬ সালে এই বন্দরে ইমিগ্রেশন চালু হয়। ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি ভুটান থেকে পাথর আমদানির মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ স্থলবন্দরের চতুর্দেশীয় ব্যবসা কার্যক্রম।