শিরোনাম
কুষ্টিয়া, ৩০ মার্চ, ২০২৪ (বাসস): জেলার পোড়াদহ পাইকারি কাপড়ের হাট ঈদকে সামনে রেখে বেশ জমে উঠেছে। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের আনাগোনায় জমজমাট হয়ে উঠেছে বৃহত্তম কাপড়ের এই হাটটি। প্রতি বছরের মতো এ বছরও নিত্যনতুন ডিজাইনের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসিয়েছে দোকানিরা। ফলে ক্রেতাদের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে বাজার। জানা যায়, প্রায় অর্ধ শতাধিক বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহে গড়ে ওঠে পাইকারি কাপড়ের হাট। সপ্তাহের বুধবার, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার পরপর এই তিনদিন এখানে হাট বসে।
বর্তমানে এখানে ৭শত পাইকারি কাপড়ের দোকান রয়েছে। যেখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার লোকের। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যতম এ পাইকারি পোশাকের বাজার পোড়াদহের কাপড়ের হাট। ঈদকে সামনে রেখে দেশের হাজার হাজার পাইকাররা শাড়ি, পাঞ্জাবি, লুঙ্গি, গামছা, বেডশিট, থ্রিপিস, টুপিস, প্যান্ট-শার্ট পিসসহ বিভিন্ন ধরনের বাহারি পোশাক কিনতে ছুটে আসেন এই হাটে। নিত্যনতুন ডিজাইনের কাপড়ের পাশাপাশি দাম কম হওয়ায় দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন তারা। সুলভ মূল্যে এ সকল পণ্য কিনতে পেরে খুশি পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা। বর্তমানে এ হাটে পাইকারি হিসেবে থ্রিপিস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০০ হাজার টাকা, লুঙ্গি ১৮০ থেকে ৭০০ টাকা, শাড়ি ৩৫০ থেকে ২০০০ টাকা এবং পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও অন্যান্য পণ্য হাতের নাগালে পাওয়া যায়। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চাঁদরাত পর্যন্ত দেড় থেকে দুইশো কোটি টাকা বিক্রির আশা করছেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। হাটে আসা ক্রেতা হাফিজুর রহমান বলেন, আমরা এ হাটে ঈদের মার্কেট করতে এসেছি। এক দোকান থেকে অন্য দোকানে গিয়ে কাপড় দেখছি। যেটা ভালো লাগে সেটা কিনবো। তবে তুলনামূলক মোটামুটি সকল কাপড় সাশ্রয় মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। মহিলা ক্রেতা রহিমা খাতুন বলেন, শুনেছি পোড়াদহ হাটে কম দামের কাপড় সস্তায় পাওয়া যায়। আমরা এখানে আসি কম দামে কাপড় কেনার জন্য। এখানে অনেক ভালো ভালো কোয়ালিটির কাপড়ও বিক্রি হয়। যশোরের ঝিকরগাছা থেকে আসা পাইকারি ক্রেতা সাইফুর রহমান বলেন, নিয়মিত পোড়াদহ হাট থেকে আমি পাইকারি মালামাল কিনি। এ হাট থেকে আমি বিভিন্ন আইটেমের থ্রিপিসসহ অন্যান্য কাপড়চোপড় কিনেছি। এলাকায় আমার দোকান আছে, সেখানে এগুলো বিক্রি করবো। ভালোই লাভ হয়।
কাপড়ের হাটের ব্যবসায়ী ছালেহা বস্ত্র বিতানের স্বত্বাধিকারী মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, রমজানের অর্ধেকের বেশি চলে গেলেও বেচাকেনা বেশ ভালোই হচ্ছে। পোড়াদহ কাপড়ের হাটটি পাইকারি মার্কেট। যার কারণে এক দামে কেনা-বেচা হয়। তাতে ক্রেতাদের ঠকার কোন সম্ভাবনা থাকে না। এ জন্য উৎসব মুখরভাবে ম্যাক্সিমাম যারা ক্রেতা, তারা সরাসরি হাটে চলে আসে।
পোড়াদহ কাপড়ের হাট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনি খা বলেন, এ হাটে প্রচুর লোকের সমাগম হয়। দেশের দূরদূরান্ত জেলা থেকে ব্যবসায়ীরা কেনাকাটা করতে আসে। ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও চাঁদরাত পর্যন্ত দেড় থেকে দুইশো কোটি তাকার কাপড় বিক্রি হবে।