শিরোনাম
ঢাকা, ৬ মে, ২০২৪ (বাসস): ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুবিধার্থে সুনির্দিষ্ট এবং দীর্ঘমেয়াদি করনীতি প্রণয়ণ করা জরুরি। একজন বিদেশী বিনিয়োগকারি জানতে চান- ‘তোমার দেশে আগামী ৫ বছর পরে করহার কত হবে। কর অবকাশ সুবিধা থাকবে কি-না।’ একইসাথে স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও দীর্ঘমেয়াদি করনীতি না থাকায় অনেক্ষেত্রে তাঁদের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। আগামী বাজেটে দীর্ঘমেয়াদি করনীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ ও ব্যবসায়ীরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ আয়োজিত এক প্রাক-বাজেট গোলটেবিল আলোচনায় তাঁরা এমন পরামর্শ তুলে ধরেন। পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এন্ড সিইও ড. মাশরুর রিয়াজের সঞ্চালনায় বৈঠকে সাতটি সম্ভাবনাময় সেক্টরের ব্যবসায়ী, আর্থিকখাতের সাবেক নীতি-নির্ধারক এবং বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা আলোচনায় অংশ নেন।
বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব শুভাশীষ বোস, বিজিএমইএর পরিচালক শামস মাহমুদ, মাস্টার্ড কার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, বাংলাদেশ কৃষি বিশি^বিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য লুৎফুল হাসান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য অপূর্ব কান্তি দাস ও আব্দুল মান্নান পাটোয়ারী, ¯েœহাশীষ মাহমুদ এন্ড কোম্পানির ম্যানেজিং পার্টনার ¯েœহাশীষ বড়–য়া, এসিআই এগ্রিবিজনেস এন্ড মেসিনারী বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রেসিডেন্ট এফ এইচ আনসারী, পিকার্ড বাংলাদেশ লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্মিতা ইসলাম, নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেডের পরিচালক দেবব্রত রায় চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সাবেক বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বোস বলেন, বিদেশীরা জানতে চান- ‘তোমার দেশে আগামী ৫ বছর পর করহার কত হবে। কর অবকাশ সুবিধা থাকবে কি-না।’ তাই বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষন করার সুবিধার্থে দীর্ঘমেয়াদি এবং সুনির্দিষ্ট করনীতি থাকা প্রয়োজন। দীর্ঘমেয়াদি করনীতি না থাকার কারণে দেশীয় ব্যবসায়ীরা তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অসুবিধায় পড়েন।
অর্থনীতিবিদ ড. মাশরুর রিয়াজ বলেন, আগামী বাজেটে অনেকখাতে কর অবকাশ সুবিধা তুলে দেওয়া হবে এমন খবর শোনা যাচ্ছে। তবে এই সিদ্ধান্ত ঢালাওভাবে না নিয়ে অত্যন্ত সুচিন্তিত উপায়ে নিতে হবে। যাতে কোন সম্ভাবনায় শিল্পখাত ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। কর অবকাশ সুবিধা প্রত্যাহারের বিষয়ে সরকারের একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ থাকা জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
সভায় অন্য আলোচকরা করনেট সম্প্রসারণ, কর ব্যবস্থায় অটোমেশন, ভ্যাট আইনের বিদ্যমান জটিলতা দূর করাসহ বেশ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন।