শিরোনাম
ঢাকা, ৭ জুন, ২০২৪ (বাসস) : ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি আশরাফ আহমেদ ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, অর্থনীতির চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি বিবেচনায় সময়োপযোগী বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাজটে রাজস্ব আহরণের উপর রাজস্ব আদায়, বাজেট ঘাটতি কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন আমদানি শুল্ক ও উৎসে কর কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। প্রায় ৩০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে, যার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ডিসিসিআই আয়োজিত প্রতিক্রিয়ায় তিনি আরো বলেন, বিগত বছরের চাইতে ব্যাংক হতে ঋণ গ্রহণের হার ১১.৮২% কম নির্ধারণ করা হয়েছে, তারপরও এটি অনেক বেশি, যা বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহকে বাধাগ্রস্থ করতে পারে। ২০২৪-২৫, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রোসপেক্টিভ কর ব্যবস্থা চালুকরনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার। তিনি এসএমই খাতের জন্য পৃথক ট্যাক্স কোড প্রবর্তন এবং রাজস্ব ব্যবস্থাপনাকে অটোমেশনের আওয়ায় কর প্রদানের প্রক্রিয়া সহজীকরণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এবছর বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ৪.৬%, যা বিগত বছরের চাইতে কম, তবে প্রবৃদ্ধি অর্জনে তা বাধা হবে না। তিনি করজাল বৃদ্ধির জন্য জোরারোপ করেন। আমাদের ট্যাক্স-জিডিপি অনুপাত ১০ শতাংশের কম, এটাকে আগামী ১০ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে আমাদের আর্থিক খাতে তারল্য সংকট দ্রুত নিরসন করা প্রয়োজন। যদিও বিষয়টি বিভিন্ন সামষ্টিক অর্থনীতির প্রেক্ষাপট ও বৈশি^ক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর অনেকাংশেই নির্ভরশীল।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, সরকার এই বাজেটে বেশকিছু ক্ষেত্রে কর ও মূসক কমিয়েছে আবার কিছু কিছু পণ্যের উপর কর হার বেড়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে তা ব্যবসা-বাণিজ্যকে মারাতœকভাবে প্রভাবিত করবে না। বাজেটের ভালো উদ্যোগগুলোকে বাস্তবায়ন করাই এ বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের উপর শর্ত সাপেক্ষে ২.৫% কর্পোরেট কর কমানোর উদ্যোগকে তিনি স্বাগত জানান। টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য তিনি এডিপি বাস্তবায়নের উপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেন।