বাসস
  ০৮ জুন ২০২৪, ২১:০৩

টেক্সটাইল খাতে বিদ্যমান কর্পোরেট কর হার বহাল রাখার দাবি

ঢাকা, ৮ জুন, ২০২৪ (বাসস): পোশাক শিল্পখাতের জন্য বিদ্যমান কর্পোরেট করহার আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। তিনি বলেন, রপ্তানি আয়ের গুরুত্ব বিবেচনায় টেক্সটাইল এবং ক্লোদিং খাতের জন্য রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎস কর হার ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে আগের মতো ০ দশমিক ৫০ শতাংশে নির্ধারণ করতে হবে। এটি আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখার প্রয়োজন। কারণ বর্তমানে ডলার সংকট, অপর্যাপ্ত জ্বালানি সরবরাহ এবং সুদহার বৃদ্ধির কারণে এই খাত অনেক সমস্যার সম্মুখীন। শনিবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ’র কার্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রস্তাবনার উপর পোশাক শিল্পের তিন সংগঠন বিজিএমইএ, বিটিএমএ, বিকেএমইএ’র যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, বিটিএমএ’র সদস্য স্পিনিং, উইভিং ও ডাইং-প্রিন্টিং-ফিনিশিং মিলগুলো দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের প্রয়োজনীয় সুতা ও কাপড় সরবরাহের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তিনি বলেন, পোশাক খাতের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো মনে করে সামনে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে হলে টেক্সটাইল এবং ক্লোদিং খাতে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে। আপনারা জানেন, দেশে তৈরি পোশাক শিল্পের ঝুট বা বর্জ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ভ্যাট ও তা থেকে উৎপাদিত ফাইবার সরবরাহের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। তিনি বলেন, আমাদের হিসাব অনুযায়ী এই ঝুট থেকে বছরে ১২০০ মিলিয়ন কেজি সুতা উৎপাদন করা সম্ভব। সেজন্য এই খাত থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানাচ্ছি ।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি আব্দুল মান্নান কচি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা ছিল বাজেটে পোশাক শিল্পের জন্য সহায়ক কিছু নীতি সহায়তা থাকবে। বিশেষ করে উৎসে কর ০.৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। এটিকে চূড়ান্ত করদায় হিসেবে গণ্য করার বিষয়ে আমাদের গভীর প্রত্যাশা ছিল এবং আছে। পাশাপাশি আরও প্রত্যাশা ছিল- বাজেটে ইনসেনটিভের ওপর আয়কর অব্যাহতি, শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবা ভ্যাটমুক্ত রাখা, ওজন সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করা, আয়কর ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা। এগুলো বাজেটে আসেনি। 
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, কঠিন বাস্তবতায় নানামুখী চ্যালেঞ্জ নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সংকোচনমূলক বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা ও দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, কৃষি, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, অবকাঠামো ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এগুলো বাজেটের ইতিবাচক দিক। যদিও বৈদেশিক মুদ্রা আহরণের প্রধান খাত তৈরি পোশাকের কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেওয়া প্রস্তাবগুলো বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি। তবে বস্ত্র ও পোশাক শিল্পের জন্য সহায়ক প্রস্তাবনাগুলোকে সাধুবাদ জানাই।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।