শিরোনাম
রাজশাহী, ২ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : সফল সমবায় প্রতিষ্ঠানগুলো শহর-গ্রাম নির্বিশেষে সমাজের সর্বত্র মানুষের জীবন ও জীবিকার মানোন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হতে পারে। দারিদ্র্য ও ক্ষুধার অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করতে অত্যন্ত কার্যকরী মাধ্যম হওয়ায়, সমবায় কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। আজ এখানে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৪ উপলক্ষে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এবং সমবায় অধিদপ্তর যৌথভাবে শহরের গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
বক্তারা সমাবেশ পরবর্তী এই আলোচনা সভায় জাতীয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শক্তি ও সমৃদ্ধি অর্জনের কার্যকর উপায় খুঁজে বের করা এবং সমবায় আন্দোলনকে সার্বিকভাবে সফল করার আহ্বান জানান।
এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে ‘সমবায়ে গর্ব দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ’।
সমবায় অধিদপ্তরের যুগ্ম নিবন্ধক মুখলেসুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগের কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক সারোয়ার জাহান এবং রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার অনির্বাণ চাকমা। জেলা সমবায় কর্মকর্তা আকরাম হোসেন অংশগ্রহণকারীদের স্বাগত জানান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক টুকটুক তালুকদার এবং মিজানুর রহমানসহ তিন সমবায় নেতা।
কমিশনার ড. হুমায়ুন কবির দেশের উন্নয়নে সমবায় বড় ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে সমাজের সর্বত্র সমবায় আন্দোলন জোরদার করার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, সমবায় আন্দোলন সঠিকভাবে চলতে পারলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চেতনাকে বাস্তবে রূপ দিতে এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশ দ্রুত বিকাশ লাভ করবে।
প্রধান অতিথি এ অঞ্চলের সম্ভাব্য বেকারত্বের অবসান ঘটাতে যুবকদের ভালো মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, গ্রামীণ জনগণ দারিদ্র্য বিমোচন এবং স্বনির্ভরতা অর্জনের জন্য প্রতিটি সেক্টরে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সমবায় কার্যক্রম থেকে ব্যাপক সুফল পেতে শুরু করেছে।
অনুষ্ঠানে সমবায়ের প্রসারের ক্ষেত্রে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য কয়েকজন সমবায়ী নারী-পুরুষকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। আলোচনা শেষে স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।