বাসস
  ০২ নভেম্বর ২০২৪, ২০:০৭

রংপুরের আলোচনায় সমবায়ভিত্তিক বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়ায় গুরুত্ব

রংপুর, ২ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বিভাগীয় পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সকল নাগরিকের কল্যাণ নিশ্চিত করতে সমবায় ভিত্তিক ও বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য আজ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। নগরীর বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় সমবায় কার্যালয়ে ৫৩তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তারা এ আহ্বান জানান।

জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলন এবং রাজপথে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি শুরু হয়।

বিভাগীয় কমিশনার মো. শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মিছিলে বিভিন্ন সমবায় সংগঠনের কর্মকর্তা, সাংবাদিক, কর্মচারী ও কর্মীরা অংশ নেন।

পরে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় যুগ্ম রেজিস্ট্রার মৃণাল কান্তি বিশ্বাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল।

বক্তারা বলেন, সমবায় সংগঠনগুলো সমবায় কার্যক্রম জোরদার ও সুশাসন নিশ্চিত করে আত্ম-কর্মসংস্থান, ক্ষুদ্র শিল্প, হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণকে স্বনির্ভরতা অর্জনে সহায়তা করতে পারে। তারা দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য  উপার্জনশীল কর্মকা-ের মাধ্যমে গ্রামীন জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে সমবায় সমিতির মাধ্যমে বেকার যুবকদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ দেওয়ার সুযোগ সম্প্রসারণের ওপর জোর দেন।

প্রধান অতিথি বলেন, সমবায় সমিতির ইতিহাস মানব সভ্যতার ইতিহাসের মতোই প্রায় প্রাচীন। সমবায় সমিতির বর্তমান সাংগঠনিক রূপ ইউরোপে শিল্প বিপ্লবের কিছুকাল আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘সমবায় একটি প্রতিষ্ঠান, যা সকল মানুষের কল্যাণের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়।’ বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৈষম্যের কারণে আমরা উন্নয়নের কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। যেহেতু এই বৈষম্যের মূল কারণ হচ্ছে দুর্নীতি, তাই দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতি দূর করে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে।

পরে বিভাগীয় কমিশনার উপজেলা পর্যায়ের সমবায় সমিতির সফল উদ্যোক্তাদের হাতে স্মারক তুলে দেন।