বাসস
  ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৯:০৩
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২২:১৩

রাজধানীর ১৩টি স্থানে উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে সরাসরি ডিম সরবরাহ


ঢাকা, ৬ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস): আগামী তিনদিনের মধ্যে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১৩টি স্থানে উৎপাদক থেকে ডিলারের মাধ্যমে সরাসরি ভোক্তা পর্যায়ে ডিম সরবরাহ করবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। দুই সপ্তাহের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। 

আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজার টিসিবি ভবনে অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান একথা জানান।

এসময় অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল জলিল, পরিচালক (কার্যক্রম ও গবেষণাগার বিভাগ) ফকির মুহাম্মদ মুনাওয়ার হোসেন, উপপরিচালক (কার্যক্রম) আতিয়া সুলতানা এবং উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার উপবিভাগ) আফরোজা রহমানসহ অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘ডিমের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান (ফার্ম ও কর্পোরেট), এজেন্ট-ডিলার, পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ী, ডিম ব্যবসায়ী সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর সংস্থার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আজ ভোক্তা অধিদপ্তরের একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পরীক্ষামূলকভাবে ডিম সরবরাহ করার সিদ্ধান্তসহ তিনটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।’

এসময় তিনি বলেন, ‘ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের তেজগাঁও বাজার,  মিরপুর-১, মিরপুর-১০, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, সাদেক খান কৃষি মার্কেট (মোহাম্মদপুর) ও উত্তরা-১০ (খামারপাড়া রোড) স্থানসমূহে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাপ্তান বাজার, নিউ মার্কেট, খিলগাঁও, জুরাইন, কোনাপাড়া সারুলিয়া, শনিরআখড়া ও চিটাগাংরোডসহ মোট ১৩ টি কেন্দ্রে  প্রতিদিন ২০ লাখ ডিম সরাসরি উৎপাদক থেকে এজেন্ট বা ডিলারের মাধ্যমে ভোক্তাদের জন্য সরবরাহ করা হবে। এর সার্বিক দায়িত্বে থাকবে দুই সিটি কর্পোরেশন।’
এরমধ্যে তেজগাঁও বাজার ও কাপ্তান বাজারে প্রতিদিন ৬.৫ লাখ করে মোট ১৩ লাখ, এবং অবশিষ্ট ১১টি বাজারে মোট ৭ লাখ ডিম সমানুপাতিক হারে বন্টন করে বিক্রির জন্য সরবরাহ করা হবে বলে তিনি জানান।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আজ অনুষ্ঠিত সভায় নেয়া সিদ্ধান্ত অনুসারে নির্ধারিত ১৩টি বাজারে ডিম সরবরাহের লক্ষ্যে গাড়ি পার্কিংসহ লোডিং-আনলোডিং এর জন্য পর্যাপ্ত জায়গার বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসকদেরকে মৌখিকভাবে জানানোর পাশাপাশি চিঠিও দেয়া হয়েছে।’

এছাড়াও, চাহিদা কম থাকাকালীন সময়ে ডিম সংরক্ষণের বিষয়ে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে একটি ডিম সংরক্ষণ সংক্রান্ত খসড়া নীতিমালা প্রণয়নের জন্য কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে দ্রুতই গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘বর্তমানে দেশের মোট ডিমের চাহিদা প্রতিদিনে ৪.৫ কোটির কিছু বেশি, বর্তমানে যার মধ্যে কিছু পরিমাণ আমাদের আমদানি করতে হয়। সরবরাহকারিরা আমাদের প্রথম বৈঠকে জানিয়েছিলেন যে প্রতিকূল আবহাওয়া ও আকস্মিক দুর্যোগ না থাকলে অভ্যন্তরীণভাবে চাহিদা মেটানো সম্ভব।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংকট কাটাতে সরকার আমাদের ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছেন ঠিকই, কিন্ত প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য ভবিষ্যতে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকেই দেশের চাহিদা সম্পূর্ণভাবে মেটানো, যেটা আমাদের পক্ষে সম্ভব বলে আমরা মনে করি।’