বাসস
  ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২০:০৩

স্থানীয়ভাবে তৈরি স্মার্টফোনের উৎপাদন বাড়ছে

ঢাকা, ৯ নভেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : স্থানীয়ভাবে তৈরি স্মার্টফোনের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশের নতুন যাত্রার পর উৎপাদনকারীরা এ খাতে প্রবৃদ্ধির আশা করছেন। টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থার এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, স্থানীয় ও বৈশ্বিক উভয় ব্র্যান্ডই গত মাসের তুলনায় সেপ্টেম্বরে তাদের উৎপাদন ছয় শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাসস’র সাথে আলাপকালে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর (এমআইওবি) সভাপতি জাকারিয়া শহীদ বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে, উৎসাহজনক কিছু ঘটতে যাচ্ছে। কারণ এ খাতের বাজার বৃদ্ধির লক্ষ্যে টেলিকম নিয়ন্ত্রক বেশ কয়েকটি বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।’

বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে মোবাইল ফোনের উৎপাদন আগের মাসের তুলনায় মোট ১.১৪ লাখ ইউনিট বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে দেশে উৎপাদিত মোট মোবাইলের সংখ্যা ছিল ২৫.১৭ লাখ ইউনিট, যা আগস্ট মাসের উৎপাদিত মোবাইলের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। আগস্ট মাসে ২৪.০৩ লাখ ইউনিট মোবাইল সেট উৎপাদিত হয়েছে। বাংলাদেশে মোবাইল সেটের এ উৎপাদন বৃদ্ধির কারণ  বর্তমানে আমাদের ১৬টি দেশি-বিদেশী ব্র্যান্ডের মোবাইল সেট উৎপাদনের স্বক্ষমতা রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড সিম্ফনি’র মালিক এবং এডিসন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকারিয়া শহীদ বলেন, তারা ইতোমধ্যেই ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সাথে বান্ডেল অফার চালু করেছেন। তিনি বলেন, ‘সরকার পিন-লক পরিষেবা অনুমোদন করলে, আমরা আরও বান্ডিল অফার করব। বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।’ শহীদ বলেন, তাদের যে সক্ষমতা রয়েছে, তা এখনও পুরোপুরি ব্যবহার করা হয়নি। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী, তারা মোবাইল সেট উৎপাদনে যাচ্ছেন।

বিটিআরসি’র তথ্যে দেখা গেছে, স্মার্টফোনগুলোর উৎপাদন আগস্টে ২৯.৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। সেপ্টেম্বর মাসে তা বেড়ে ৩৬.২১ শতাংশ হয়েছে এবং  প্রযুক্তিগতভাবেও আরো উন্নত হয়েছে। সেটগুলোর মধ্যে মোট ৯.০৯ লক্ষ ইউনিটের ৪জি-সক্ষম ছিল। আর এখন ০.০৩ লক্ষ ইউনিট সর্বশেষ ৫এ প্রযুক্তি বৈশিষ্ট্যযুক্ত।

আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে ৪জি-সক্ষম মোবাইল ফোনের উৎপাদন যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে।

৪জি-সক্ষম মোবাইল ফোনের মোট বৃদ্ধি সেপ্টেম্বরে ছিল ৯.০৯ লক্ষ। আগস্ট মাসে এই প্রযুক্তির ৬.৯৯ লক্ষ ইউনিট মোবাইল সেট উৎপাদিত হয়েছিল।

বিটিআরসি’র তথ্যে দেখা গেছে, বেশিরভাগ ফোন ২জি প্রযুক্তি দিয়ে সজ্জিত। মোট ২৫.১৭ লাখ ফোনের মধ্যে ১৬.০৬ লাখ ইউনিট ২জি প্রযুক্তিতে সজ্জিত।

ট্রান্সশন বাংলাদেশের সিইও রেজওয়ানুল হক আগামী দিনে আরও ভালো বাজারের প্রেক্ষাপট আশা করে বলেছেন, আগের মাসের তুলনায় উৎপাদন বেড়েছে।

তিনি বলেন, ‘সমস্ত উৎপাদনকারী তাদের উৎপাদন পুরোদমে চালাচ্ছে, কারণ ১৬টি স্থানীয় ও বিদেশী ব্র্যান্ড তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছে।’

ট্রান্সশন হল গ্লোবাল মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড টেকনো’র মূল কোম্পানি। এর স্থানীয় উৎপাদন সম্পর্কে রেজওয়ানুল হক বলেন, তারা ভালো প্রবৃদ্ধি পেয়েছে।

বিটিআরসি পরিসংখ্যান দেখিয়েছে যে ফিচার ফোনগুলো, যা প্রাথমিকভাবে ২জি ডিভাইস, সেপ্টেম্বরে সেগুলো উৎপাদন সংখ্যায় প্রাধান্য পেয়েছে। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে যে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে বাংলাদেশে কোন ৩জি মোবাইল ফোনের উৎপাদন হয়নি।