শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ১৩ নভেম্বর ২০২৪ (বাসস) : বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ান দূতাবাসের ডিরেক্টর জেনারেল (ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ) সামসু কিম বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে কোরিয়ায় প্রতিবছর রপ্তানির পরিমাণ ৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ ও কোরিয়ার মধ্যে ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট করার ব্যাপারে উভয় দেশ কাজ করছে।
আজ ১৩ নভেম্বর দুপুরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও চিটাগাং চেম্বারের প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে পিএইচপি মোটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আকতার পারভেজ, প্রান্তিক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম সরোয়ার, পিএনএল হোল্ডিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরান খান ও বিএসআরএম’র কর্পোরেট এফেয়ার্স’র ম্যানেজার ইফাত চৌধুরী, কোরিয়া ট্রেড ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন এজেন্সি’র (কোটরা) চিফ স্পেশালিস্ট ফারুক আহমেদ ও চেম্বারের যুগ্ম সচিব নুরুল আবছার চৌধুরী সভায় বক্তব্য রাখেন।
কোরিয়ান দূতাবাসের ডিরেক্টর জেনারেল বলেন, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত হচ্ছে তৈরিপোশাক শিল্প। এ খাতে কোরিয়ান বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য। অটোমোবাইল শিল্প বিশ্বে বৃহৎ শিল্প। ভারতেও অটোমোবাইল শিল্প দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশেরও অটোমোবাইল সাপ্লাইচেইন শিল্প সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। তিনি মিরসরাই ইকোনমিক জোনে ‘ইকোনমিক ইনোভেশন পার্টনারশিপ প্রোগ্রাম’ (ইআইপিপি) এর আওতায় স্যাটেলাইট সিটি নির্মাণের পরিকল্পনা তথ্যচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন, যেখানে হাসপাতাল, স্কুল, খেলার মাঠসহ সকল ধরণের সুযোগ-সুবিধা বিদ্যমান থাকবে। ভবিষ্যতে যা বাংলাদেশের অর্থনীতির ইঞ্জিন হয়ে উঠবে। সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য মিরসরাই স্মার্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল জোনে হাই ভ্যালু ম্যানুফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠবে।
চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, দেশের কমার্শিয়াল হাব হিসেবে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাক্ষী হয়েছে। তৈরিপোশাক খাত, জাহাজ নির্মাণ, ফার্মাসিউটিক্যালস, আইটিসহ বিভিন্ন খাতের বিকাশে এই অঞ্চল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ ও বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টিতে চিটাগাং চেম্বার সহায়ক ভুমিকা পালন করছে। তিনি দুই দেশের মধ্যবর্তী বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে এখনই সময় উল্লেখ করে দূতাবাসের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার এ সফর চট্টগ্রামের বিনিয়োগ পরিবেশ ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে সম্যক ধারণা অর্জনের সুযোগ তৈরি এবং বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করার পাশাপাশি সম্পর্ককে আরো জোরদার করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অন্যান্য বক্তারা শিপবিল্ডিং, শিপ রিসাইক্লিং খাতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক নিয়োগসহ বাংলাদেশে একক বা যৌথ উদ্যোগে মোটর সাইকেল এসেম্বলিং প্ল্যান্ট ও অটোমোবাইল লেদার ইন্ডাস্ট্রিতে বিনিয়োগের আহবান জানান।