শিরোনাম
বেনাপোল (যশোর), ১৮ নভেম্বর ২০২৪ (বাসস): জেলায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
রোববার দিবাগত রাতে ভারত থেকে চালবোঝাই তিনটি ট্রাক স্থলবন্দরের ট্রান্সশিফমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করে।
যশোরের মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্ট নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রথম চালানে তিনটি ট্রাকে ১০৫ টন (একলাখ ৫ হাজার কেজি) নন-বাসমতি চাল আমদানি করেছে। আমদানিকারকের আরও একশ’ টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় পাইপ লাইনে আছে।
বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে চাল খালাসের দায়িত্বে রয়েছে সিএন্ডএফ এজেন্ট হোসেন অ্যান্ড সন্স।
সিএন্ডএফ এজেন্টের ম্যানেজার জিয়াউর রহমান জানান, আমদানিকৃত চালের মূল্য ৪৫ হাজার ১৫০ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা। আমদানি করা প্রতিকেজি চালের দাম পড়েছে প্রায় ৫২ টাকা। সেই সাথে রয়েছে এলসি খরচ, এক্সপোর্ট খরচ, পরিবহন, বন্দরের ভাড়া, ব্যাংক খরচসহ অন্যান্য খরচ। সেই হিসেবে প্রতিকেজি চালের মূল্য দাঁড়ায় ৫৫ টাকা।
আমদানিকারকরা জানান, দেশের বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করেছে। ফলে গতকাল রোববার থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, ভারতও চাল রপ্তানিতে মূল্য উন্মুক্ত করে দেয়ায় আমদানি বাড়বে। দেশের বাজারে চালের দাম দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসবে।
চাল আমদানিকারক ২৪ জনের মধ্যে ১২ জন যশোর এলাকার আমদানিকারক এবং তারা ৭৩ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ১৯ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপসহকারী হেমন্ত কুমার সরকার জানান, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাহাবুবুল আলম ফুড প্রোডাক্টস প্রথম চালানে ১০৫ মেট্রিক টন চালের আইপি সার্টিফিকেট নিয়েছে। এই আমদানিকারকের আরও একশ’ মেট্রিক টন চাল বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের কথা রয়েছে।
২০২৩ সালের ২০ জুলাই দেশের বাইরে সিদ্ধ ও আতপ চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবীন্দ্র সিনহা জানান, সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় গত ১১ নভেম্বর ২৪টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এরমধ্যে একলাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৫৫ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শর্তে বলা হয়েছে, বরাদ্দপ্রাপ্ত আমদানিকারকদের আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সমুদয় চাল বাংলাদেশে বাজারজাত করতে হবে। আমদানিকৃত চালের পরিমাণ, গুদামজাত ও বাজারজাতকরণের তথ্য সংশ্লিষ্ট জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে, বরাদ্দের অতিরিক্ত আইপি ইস্যু করা যাবে না, আমদানিকৃত চাল অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে পুনরায় প্যাকেটজাত করা যাবে না। আমদানি করা চাল বস্তায় বিক্রি করতে হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) সজিব নাজির জানান, রোববার রাতে বেনাপোল বন্দরে ১০৫ মেট্রিক টন চালের একটি চালান বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে। কাস্টমস থেকে শুল্কায়নের পর কাগজপত্র দেখে দ্রুত ছাড় দেওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।