শিরোনাম
ঢাকা, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর অবিলম্বে বিশ্বাস্য প্রস্তাব অনুমোদনের মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মূলধন লেনদেন উদারীকরণ, বিনিয়োগ ব্যবস্থা সংস্কার ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। এ প্রচেষ্টার লক্ষ্য লাভজনক ব্যবসা ও মুনাফা স্বদেশে প্রেরন নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনা।’ গভর্নর একটি ওয়েবিনারে সম্মানিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা) সোমবার তাদের ‘স্টেট অব ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট ওয়েবিনার’ সিরিজের দ্বিতীয় অধিবেশনের আয়োজন করেছে।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিডা ব্যবসায়ী পরিবেশকে সহজতর করার লক্ষ্যে প্রশংসনীয় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এই প্রক্রিয়ার একটি অংশ। তিনি বলেন, ‘উদাহরণস্বরূপ লাভ বা লভ্যাংশ স্বদেশে প্রেরনের জন্য আর আমাদের অনুমতির প্রয়োজন নেই। ব্যাংকগুলো বিদ্যমান নিয়মের মধ্যেই যে কোনও পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করতে পারে।
এছাড়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তা দূর করে আমরা ছোট ঋণের আবেদনগুলো সরাসরি তাদের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরণ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য বিডা’র সাথে সংযুক্ত হয়েছি।’
ড. মনসুর কঠোর ঋণ নিষেধাজ্ঞা সহজীকরণ, অফশোর ব্যাংকিং অপারেশনস (ওবিইউ) এবং ওবিইউএস ও দেশীয় ব্যাংকিং ইউনিটের (ডিবিইউএস) মধ্যে তহবিল স্থানান্তরের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার উদ্যোগের বিষয়ে আরও বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন।
অধিবেশনের শুরুতে বিডা ও বেজা’র নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন সরকারি পরিষেবার মান উন্নয়ন, নীতির ধারাবাহিকতা নিশ্চিতকরণ, শিল্প পরামর্শ বৃদ্ধি, সম্পদ প্রাপ্তি ও দুর্নীতির সমস্যা মতো চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় গৃহীত মূল পদক্ষেপের রূপরেখা তুলে ধরে মূল বক্তব্য প্রদান করেন।
তিনি প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে পরিচালিত একটি উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন- ‘বিনিয়োগকারীদের কর্মকান্ডের উন্নতির অগ্রগতি নিরীক্ষণের জন্য বিনিয়োগ প্রোমোশন শাখার প্রধান ও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রধান ইউনিটগুলোর সমন্বয়ে একটি মাসিক ফোরাম প্রতিষ্ঠা করা হবে। বিশেষ দূত লুৎফি সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ফোরামটি বিদ্যমান আইন ও প্রবিধানের মধ্যে থেকে নির্বিঘ্ন, সময়সীমাবদ্ধ সম্পাদনের সুবিধার্থে একটি সম্পূর্ণ সরকারী পদ্ধতি গ্রহণ করবে।’
ওয়েবিনারে সীমাবদ্ধ সময়ের মধ্যে সংস্কার এবং সহযোগিতামূলক প্রশাসনের কথা উল্লেখ করে, একটি বিনিয়োগকারী-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়।