শিরোনাম
ঢাকা, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : সারাদেশে খুচরা বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে সরকার চলতি মাসের মধ্যে বেসরকারি খাতকে ৩.৯২ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় একথা জানায়।
মোট ৯২টি বেসরকারি চাল আমদানিকারক ইতোমধ্যে ৩.৯২ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির জন্য সরকারি অনুমোদন পেয়েছে। যার মধ্যে ২.৭৩ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ এবং আরও ১.১৯ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল রয়েছে।
এই সর্বশেষ আদেশের মাধ্যমে, খাদ্য মন্ত্রণালয় এই মাসের মধ্যে মোট ১৪.৮১ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ এবং সিদ্ধ ছাড়া ‘আতপ’ চাল আমদানির জন্য ২৭৭টি বেসরকারি খাতের কোম্পানিকে চতুর্থবারের মতো পৃথকভাবে অনুমতি দিয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংগ্রহ ও সরবরাহ) এম হাবিবুর রহমান হোসাইনি বলেন, ‘খুচরা বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে আমরা বেসরকারি খাতের ৯২টি কোম্পানিকে ৩.৯২ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ ও সিদ্ধ ছাড়া আতপ চাল আমদানির অনুমোদন দিয়েছি।’
তিনি বলেন, চলতি আমন ফসল তোলার দুই সপ্তাহ আগে ঘাটতি মেটাতে অবিলম্বে ওই পরিমাণ চাল আমদানির আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশ অনুসারে, বেসরকারি আমদানিকারকদের অবশ্যই ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে খুচরা বাজারে চাল সরবরাহ করতে হবে।
কর্মকর্তা বলেন,আমদানিকারকদের এই পরিমাণ চাল আমদানীকৃত কোম্পানীগুলো পুনরায় প্যাকেজিং না করে সরাসরি বস্তায় করে বাজারে বিক্রি করতে হবে।
বাসসের সঙ্গে আলাপকালে চাল আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিরোদ বরণ সাহা বলেন, সরকারের চাল আমদানির সিদ্ধান্ত বাজারে চালের দাম আবার কমিয়ে দেবে। এমনকি এই আমদানি নতুন কাটা ধানের দামকেও প্রভাবিত করবে কারণ প্রতি কেজি ধানের দাম এখন ৩৬ টাকা থেকে ৩৬.৫০ টাকা।
এর আগে, খাদ্য মন্ত্রণালয় ১৮৫টি বেসরকারি খাতের কোম্পানিকে প্রায় ১০.৮৯ লাখ মেট্রিক টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছিল। যেখানে ৭.৯২ লাখ মেট্রিক টন ছিল সিদ্ধ চাল এবং বাকি ২.৯৭ লাখ মেট্রিক টন ছিল সিদ্ধ ছাড়া ‘আতপ’ চাল।
আমদানিকারকদের ওই পরিমাণ চাল ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে বিক্রি করতে বলা হয়েছে।
সরকারি খাতে বুধবার পর্যন্ত খাদ্য সঞ্চয়ের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৩৫১ মেট্রিক টন। যেখানে প্রায় ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৭২৮ মেট্রিক টন চাল, ৪ লাখ ২১ হাজার ১৭১ মেট্রিক টন গম এবং বাকি ৬৮১ মেট্রিক টন ধান।