বাসস
  ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৬

৬টি চিনিকল ফের চালু করা একটি ঐতিহাসিক ঘটনা : এসএমআরটিএফসি

রংপুর, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪ (বাসস) : দেশের উত্তরাঞ্চলের বন্ধ থাকা ছয়টি চিনিকল পুনরায় চালু করার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত একটি ঐতিহাসিক ঘটনা এবং একটি বিজয়। এই বিজয়কে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থ এবং আখ চাষীদের কল্যাণে সুসংহত করতে হবে।

সুগার মিলস চালুকরণ টাস্ক ফোর্স কমিটির (এসএমআরটিএফসি) সদস্যরা আজ রোববার এখানে একটি কমিউনিটি সেন্টারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ছয়টি বন্ধ চিনিকল পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই মতামত ব্যক্ত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শ্রম ও কর্মচারী ফেডারেশন (বিএলইএফ) এবং জাতীয় শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ (জেএসকেএসপি) এবং আখ চাষী ও আখ রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের (এসএফএসআরএসপি) কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এসএমআরটিএফসি যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ (জেএসকেএসপি)’র সভাপতি আব্দল্লাহ ক্বাফী রতন।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এসএমআরটিএফসি সদস্য ও বিএলইএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মানস নন্দী ও এসএমআরটিএফসি সদস্য আলতাফ হোসেন।

লিখিত বিবৃতিতে বলা হয়, ১৫টি রাষ্ট্র পরিচালিত চিনিকলের মধ্যে ছয়টির মাড়াই ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থগিত বা বন্ধ করা হয়েছিল।

গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জেএসকেএসপি ছয়টি বন্ধ চিনিকল চালুর দাবি জানিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প উপদেষ্টার কাছে ২০ আগস্ট স্মারকলিপি পাঠায়।

পরবর্তীতে এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মকর্তা ও বেসরকারি প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়।

টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর আখ মাড়াইয়ের উপর জারিকৃত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার এবং তিন ধাপে বন্ধ চিনিকলগুলি পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার প্রথম ধাপে রংপুরের শ্যামপুর সুগার মিলস লিমিটেড এবং দিনাজপুরের সেতাবগঞ্জ সুগার মিলস লিমিটেড পুনরায় চালু করার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত প্রহণ করেছে।

লিখিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে যেকোনো সরকার, বিশ্বব্যাংক বা সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর শিল্প কারখানা বন্ধের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।

এছাড়া দেশের চিনির চাহিদা মেটাতে এবং দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন শিল্প পণ্য উৎপাদনের জন্য পর্যাপ্ত নতুন চিনিকল, পাটকল এবং অন্যান্য শিল্প কারখানা গড়ে তোলার পদক্ষেপ জোরদার করতে হবে বলে বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

অন্যান্যের মধ্যে সিপিবি রংপুর জেলা সভাপতি কমরেড শাহাদাত হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক কাফি সরকার, এসএফএসআরএসপির রংপুর জেলা আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, বিএলইএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা, বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, বিএসডি (মার্কসবাদী) রংপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক আহসানুল আরেফিন তিতু প্রমুখ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।