বাসস
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:০৫
আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২১:১২

২০২৬ সালের মধ্যে পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে সাড়ে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ আসবে : বেজা চেয়ারম্যান

ঢাকা, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫ (বাসস) : ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে সাড়ে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ আসবে  বলে আশা করছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। অঞ্চলগুলো হলো জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এনএসইজেড), শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড), জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চল, মহেশখালী অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বাংলাদেশ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এসব  অর্থনৈতিক অঞ্চলে কমপক্ষে ২ লাখ ৩৮ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে  জানিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। 

বিডার মাল্টিপারপাস হলে আজ মঙ্গলবার ‘বেজার অগ্রগতি ও পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  প্রথম ধাপে এ ৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ সব ধরনের সুযোগ সুবিধা মিলবে।

বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে বেজা  বাস্তবসম্মত প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে উল্লেখ্য করে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বেজাকে সত্যিকারের বিনিয়োগসবান্ধব কর্তৃপক্ষে রূপান্তর করতে চাই।  যাতে বিনিয়োগকারীরা সময়মতো এর বিনিয়োগ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে। বেজা যদি আগামী দুই বছরের মধ্যে পাঁচটি অর্থনৈতিক অঞ্চলের পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারে, তাহলে এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে আরও ভালো উদ্যোগ নিতে পারবো। 

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মূল বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে ব্যবসায়ি, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারী, ডেভেলপার, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান,  উন্নয়ন সংস্থা এবং সাংবাদিকসহ সবশ্রেণীর স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেছি উল্লেখ করে তিনি বলেন- সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে বসে এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। 

উল্লেখিত পাঁচটির বাইরে আরও পাঁচটি ইজেডকে মূল্যায়নের অধীনে রাখা হয়েছে। যা বিভিন্ন জরিপের পর পর্যায়ক্রমে বিকাশ করা হবে। এই পাঁচটি জোন হলো সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, চাইনিজ ইকোনমিক জোন, চাদপুর ইকোনমিক জোন, কুড়িগ্রাম ইকোনমিক জোন এবং কুষ্টিয়া ইকোনমিক জোন।

বেজার নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে ১৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাজ চলছে। ১২২টি প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করেছে, ৭ হাজার ২০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ৪৫ হাজার কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। বিনিয়োগকারী আছেন ২১২ জন। তবে  যেসব বিনিয়োগকারী জমি নিয়েছেন কিন্তু কোনো কারণে কার্যক্রম শুরু করতে পারেননি, তাদের শিল্প স্থাপনে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং তাদের বিনিয়োগ পরিকল্পনা বেজাকে জানাতে অনুরোধ করা হচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী যদি এই বিনিয়োগকারীরা শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য উন্নয়ন কাজ শুরু করতে না পারেন, তবে তাদের জমি বেজাকে ফেরত দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর অব্যবহৃত জায়গায় সোলার পার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে। মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে পিপিপি মডেলে সোলার প্যানেল করার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি সরকারের যেসব মিল ও কারখানা লোকসানে আছে বা বন্ধ রয়েছে- সেগুলোতে অর্থনৈতিক অঞ্চল করার পরিকল্পনা রয়েছে।