বাসস
  ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:৫৭

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে অনাবিষ্কৃত বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পতাকা। প্রতীকী ছবি

ঢাকা,  ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫ (বাসস): বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং দু’দেশের অনাবিষ্কৃত বাণিজ্যিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন উভয় দেশের ব্যবসায়ী নেতারা।

আজ সোমবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-পাকিস্তান বিজনেস ফোরাম’ শীর্ষক সভায় দু’দেশের ব্যবসায়ী নেতারা সম্ভাবনাময় বিভিন্ন খাতে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণের এই আহবান জানান।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং দি ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফপিসিসিআই) যৌথ উদ্দ্যেগে এ সভার আয়োজন করে।

সভার সভাপতি এফবিসিসিআই’র প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বিগত বছরসমূহে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি দেখা গেলেও কৃষি, বস্ত্র, ওষুধ, আইসিটিসহ সম্ভাবনাময় অনেক খাত এখনও অনাবিষ্কৃত থেকে গেছে। দু’দেশের সরকার ও ব্যবসায়ীদের যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য আরো বহুগুণ বৃদ্ধি করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অনাবিস্কৃত বাণিজ্যিক খাতগুলোকে সামনে নিয়ে আসতে হবে।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) এবং ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাকে (ওআইসি) কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্ব দেন মো. হাফিজুর রহমান।

এফবিসিসিআই প্রশাসক বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জ্বালানি, শিক্ষা, প্রযুক্তি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, গবেষণা ও উদ্ভাবন প্রভৃতি খাতে দু’দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে নিবিড়ভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। এফবিসিসিআই এবং এফপিসিসিআই সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন কর্মশালা, সেমিনার, পারস্পরিক আলোচনাসহ ‘সিঙ্গেল কান্ট্রি ট্রেড ফেয়ার’ আয়োজনের উদ্যোগ নিতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ সময় দি ফেডারেশন অব পাকিস্তান চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (এফপিসিসিআই) সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখ বলেন, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে বিপুল বাণিজ্য সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে কৃষি, ওষুধ, চামড়া, মেশিনারি, কেমিক্যাল, আইসিটি খাতে দু’দেশের এক সঙ্গে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক যোগাযোগের সুবিধাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।

দু’দেশের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে আতিফ বলেন, অবকাঠামো, বন্দর ও লজিস্টিকস সক্ষমতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের আরো বেশী মনোযোগী হতে হবে।

কৃষিখাতে যৌথভাবে কাজ করার পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তিগত জ্ঞান আদান প্রদানের মাধ্যমে অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আনা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন এফপিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাকিব ফায়াজ মাগুন।

সভায় বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে এফবিসিসিআই এবং এফপিসিসিআই-এর মধ্যে ‘জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল’ গঠনের বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

সভায় ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ ওয়াসিফ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বাণিজ্য উইং) নাজনীন কাওসার চৌধুরী, এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক ও সহায়ক কমিটির সদস্য গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী (খোকন), এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মো. আলমগীর, এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক ও এফপিসিসিআই’র ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।