শিরোনাম
ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ (বাসস) : নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল অফিসে ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ উপলক্ষে গতকাল বুধবার‘ ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা: প্রেক্ষিত বদলে যাওয়া বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সোনালী ব্যাংক পিএলসি ও যুক্তরাষ্ট্রে সোনালী এক্সচেঞ্জ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে প্রবাসী ও ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য বিনিয়োগ বান্ধব সংস্কারের ওপর একটি ওয়েবিনার ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এসময় বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’র (ইডিএ) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী বক্তব্য রাখেন।
মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণে প্রবাসীসহ সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিনিয়োগে নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে সরকার ঘোষিত বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করে তিনি প্রবাসীদের বাংলাদেশে অধিক হারে বিনিয়োগের আহবান জানান। তিনি বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে অংশীদার হওয়ার আহবান জানান।
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রেমিট্যান্সের গুরুত্ব উল্লেখ করে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির ব্যাপারে একচেঞ্জ হাউসগুলোকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান মুসলিম চৌধুরী। যেন প্রবাসীরা হয়রানির শিকার না হন।
তিনি বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় সব দেশের ন্যায় বাংলাদেশও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে তা তুলে ধরেন। এছাড়া অন্তর্র্র্বর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচির বিষয়ে আলোকপাত করে সহজতর এবং বিনিয়োগ বান্ধব প্রক্রিয়া চালু করার বিষয়ে সবাইকে আশ্বস্ত করেন সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান।
এসময় সোনালী এক্সচেঞ্জের সিইও মহসিন কবির তার বক্তব্যে প্রচলিত বিনিয়োগের পাশাপাশি স্টক ও বন্ডে বিনিয়োগের সুবিধাসমূহের ওপর প্রবাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনার সুবিধা গ্রহণ পূর্বক তিনি সকলকে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণের আহবান জানান।
কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা বাংলাদেশকে ব্যবসা-বিনিয়োগের এক অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি, দ্রুত বিকাশমান শিল্প ও সেবাখাত, পরিশ্রমী এবং মেধাবী তরুণ জনগোষ্ঠী, শ্রমের সহজলভ্যতা, দ্রুত প্রসারমান প্রযুক্তি-সামর্থ্যসহ প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো উল্লেখ করে তিনি সবাইকে বাংলাদেশের আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধাসমূহ গ্রহণ করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে সরকারি, বেসরকারি এক্সচেঞ্জ হ্উাসের প্রতিনিধিবৃন্দ, দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা, রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়িক, সংস্কৃতি ও মিডিয়া অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।