বাসস
  ২৮ মার্চ ২০২৫, ২০:৪০

পোশাক খাতের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে: বিজিএমইএ প্রশাসক

ঢাকা, ২৮ মার্চ, ২০২৫ (বাসস): পোশাক শিল্প খাতের শ্রমিকদের ঈদুল ফিতর আনন্দময় করতে যথাযথ বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হয়েছে। 

বিজিএমইএ প্রশাসক মো: আনোয়ার হোসেন জানান, পাওনা পরিশোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ২৭ মার্চের মধ্যে ৯৯.৫৩ শতাংশ কারখানা শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ করেছে। আর ৮৩ দশমিক ২০ শতাংশ কারখানা মার্চ মাসের আংশিক বেতন দিয়েছে। ৯৪.৭৮ শতাংশ কারখানা বোনাস পরিশোধ করেছে। তিনি এজন্য তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো জানান, বিজিএমইএ’র অনুরোধের প্রেক্ষিতে সরকার আগাম প্রস্তুতি নিয়ে ব্যাংকগুলোকে প্রণোদনার অর্থ ছাড় করতে নির্দেশ দেয়ার কারণে উদ্যোক্তারা নির্বিঘ্নে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন, মার্চ মাসের আংশিক/পূর্ণ বেতন এবং উৎসব ভাতা পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশেষ করে ছাড়ের অর্থ প্রথমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানাগুলোকে ও পরে বড় কারখানাগুলোকে দেয়ার কারণে এবছর পোশাক খাতে বেতন-ভাতা পরিশোধকে ঘিরে তেমন কোন সংকট সৃষ্টি হয়নি। 

এজন্য তিনি অর্থ উপদেষ্টা, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা, বাণিজ্য উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী, সেনাবহিনী, বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর, শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং মিডিয়াসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন, তাদের সকলের ঐকান্তিক সহযোগিতায় এবারও শ্রমিক ভাই-বোনেরা উৎসবমুখর পরিবেশে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে যাচ্ছেন।

তিনি আরও জানান, ঈদের আগে বেতন ভাতা বিষয়ে সমস্যা হতে পারে এরকম ৪৪৫টি কারখানা প্রতিষ্ঠানকে ক্লোজ মনিটরিংয়ের আওতায় এনে সমস্যার ধরন বুঝে সমাধানের উদ্যোগ নেয় বিজিএমইএ। বিজিএমইএ এর সরাসরি হস্তক্ষেপে সমস্যা কটিয়ে প্রায় শতাধিক কারখানার শ্রমিকদের বেতনভাতা প্রদান নিশ্চিত করা হয়।

উল্লেখ্য, পোশাক খাতে সর্বমোট চালু কারখানার সংখ্যা ২১০৭টি। এগুলোর মধ্যে ঢাকা অঞ্চলে ১৭৬৯টি এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৩৩৮টি কারখানা রয়েছে। জরুরি শিপমেন্টের জন্য ব্যস্ততা থাকায় কিছু কারখানা ২৮ মার্চ এবং কিছু কারখানা আগামী ২৯ মার্চ বেতন-ভাতা পরিশোধ সম্পন্ন করবে। 

তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২৯ মার্চের মধ্যেই প্রায় শতভাগ পোশাক কারখানায় মার্চ মাসের আংশিক/পূর্ণ বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ সম্পন্ন হবে। ঈদের ছুটিতে মহাসড়কগুলোকে যানযট কমানোর জন্য কারখানাগুলোর শ্রমিকদের ধাপে ধাপে ঈদের ছুটি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ২৯ মার্চের মধ্যে সকল শ্রমিক ঈদের ছুটিতে চলে যাবেন।

তিনি রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমসহ দেশের রপ্তানি বাণিজ্য সচল রাখতে সরকারী ছুটির দিনে ইপিবি, চট্টগ্রাম বন্দর, চট্টগ্রাম কাষ্টমস হাউজ, আইসিডি কমলাপুর, ঢাকা কাষ্টমস, মংলা কাষ্টমস, বেনাপোল কাষ্টমস ও পানগাঁও কাষ্টমস হাউজ এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামের কাষ্টমস বন্ড কমিশনারেট কার্যালয় এবং একইসঙ্গে এসব কাষ্টমস হাউজ ও শুল্ক ষ্টেশন-সংশ্লিষ্ট বন্দর, ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার জন্যও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

বিজিএমইএ প্রশাসক এছাড়াও বিজিএমইএ এর অনুরোধের প্রেক্ষিতে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের ভ্রমনের সুবিধার্ধে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করায় বাংলাদেশ রেলওয়ে’কে এবং মহাসড়কগুলোতে বিশেষ বিআরটিসি বাস সার্ভিস চালু করার জন্য সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।