বাসস
  ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২৩:৪৫

বাংলাদেশের লজিস্টিক খাতের সক্ষমতা বাড়াতে সিঙ্গাপুর সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহী

ছবি: ডিসিসিআই

ঢাকা, ১০ এপ্রিল, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশের লজিস্টিক খাতের সক্ষমতা বাড়াতে সিঙ্গাপুর সহযোগিতা প্রদানে আগ্রহী। বাংলাদেশের বন্দরগুলোর দক্ষ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালন ব্যয় অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব, যার মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)’র সভাপতি তাসকীন আহমেদের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো এই অভিমত ব্যক্ত করেন। আজ বৃহস্পতিবার ডিসিসিআই গুলশান সেন্টারে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো-এর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সাথে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

এ সময় সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেন, শিল্পখাতে পণ্য উৎপাদন ও লজিস্টিক খাতে ব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালন ব্যয় অনেকাংশে হ্রাস করা সম্ভব। দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর বৈশ্বিক বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রস্থল হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

 তিনি বাংলাদেশের রাজস্ব খাতের সংস্কার ও অটোমেশনের উপর জোর দেন। এছাড়া বহির্বিশ্বে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণে তিনি শিল্পখাতে ইএসজি কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার বৃদ্ধিসহ সার্বিকভাবে কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণের উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। হাইকমিশনার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে সিঙ্গাপুর নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সম্পৃক্ত হওয়া ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।

সভায় স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বার সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ৯০ দিনের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য স্বস্তির বিষয়, তবে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

ডিসিসিআই সভাপতি উল্লেখ করেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিনিয়োগকারী দেশ এবং সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাগণ ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ১ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ করেছে। 

তিনি জানান, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, আধুনিক ও দক্ষ বন্দর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সিঙ্গাপুর বৈশ্বিক বাণিজ্যের অন্যতম কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে এবং বাংলাদেশের বন্দর ব্যবস্থাপনা, অবকাঠামো, লজিস্টিক, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরের উদ্যোক্তাদের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।

ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, সিঙ্গাপুর হাইকমিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিশেল লি প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।