শিরোনাম
ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৩ (বাসস): পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ বিদেশে অবস্থানরত সকল রাষ্ট্রদূতকে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোতে বাংলাদেশের বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন।
নগরীর একটি হোটেলে এফবিসিসিআই আয়োজিত বাংলাদেশ বিজনেস সামিট এবং নেটওয়ার্কিং ভোজসভায় বক্তৃতাকালে তিনি বলেন, ‘আমি (পররাষ্ট্র) মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রসারে আমাদের প্রচেষ্টা দ্বিগুণ করার নির্দেশ দিয়েছি।’
মন্ত্রী বলেন, সরকার আমাদের উৎপাদন ব্যবস্থা স্থিতিশীল এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রবাহমান রাখতে সম্ভাব্য সর্বোত্তম উপায়ে কাজ করছে।
জিডিপির পরিপ্রেক্ষিতে আইএমএফ-এর সাম্প্রতিক উপাত্তের উল্লেখ করে মোমেন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতি। এটি আমাদের জন্য একটি বড় অর্জন এবং এতে ধারণা করা যায় যে, আমরা ২০৩৫ সালের মধ্যে এক ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার জন্য সঠিক পথে এগোচ্ছি।।
তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্তর্জাতিক ব্যবসা ও উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন সময় এসেছে আমরা এমনভাবে কাজ শুরু করতে পারি যাতে বাংলাদেশের প্ল্যাটফর্মগুলি উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তাদের জন্য বৈশ্বিক ইনকিউবেটর হয়ে উঠতে পারে।’
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি ‘উন্নয়ন বিস্ময়’ এবং এই পরিচয়ের পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ হচ্ছে একটি ধর্মনিরপেক্ষ, সার্বভৌম, নব্য-উদারবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থা যেখানে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতার মূল নীতিগুলি সমুন্নত রাখার দৃঢ় সাংবিধানিক ও আইনগত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের যে কোনো স্থানের প্রেক্ষিতে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে লাভজনক স্থান।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ সরকার চেতনায় ও কাজে জনগণের সরকার।
তিনি ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এর প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে ১১-১৩ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩ আয়োজনের পরিকল্পনার জন্য অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, ‘করোনার ঢেউ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিতে এটি একটি খুব সময়োপযোগী উদ্যোগ এবং বৈশ্বিক অর্থনীতি ও সরবরাহ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করার লক্ষ্যে একটি ব্যাপক প্রচেষ্টা।’
মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এই আয়োজন আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছাতে এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার সুযোগ খুঁজে পেতে বৈশ্বিক সংযোগ জোরদারে বাংলাদেশের প্রয়াসে সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, ‘জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা’ ও কানেক্টিভিটির হাব হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার বিষয়টিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিকভাবেই ‘সংযোগই উৎপাদনশীলতা’ বলে অভিহিত করেছেন।’ আর বাংলাদেশ তাই করছে।