শিরোনাম
ঢাকা, ১১ মার্চ, ২০২৩ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেছেন, আশা করছি আগামী ২০২৬ সাল নাগাদ মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হয়ে যাবে এবং সেটি বাংলাদেশের জন্য 'গেম চেঞ্জার' এর ভুমিকা রাখবে। তিনি বলেন, ‘বিশেষত অবকাঠামো খাতের উন্নয়নে আমরা অনেক কাজ করছি। আর এর সঙ্গে ২০২৬ সালে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর চালু হলে, বাংলাদেশের জন্য সেটি ‘গেম চেঞ্জার' হবে।’ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁও বঙ্গবন্ধু আন্তজার্তিক সম্মেলনকেন্দ্রে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়োজিত বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে ‘বিজনেস লিডারস প্যানেল: বাংলাদেশ- দ্য বিগ পিকচার’ শীর্ষক অধিবেশনে এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিজনেস সামিট, ২০২৩-এর উদ্বোধন করেন।
অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসীম উদ্দিন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) উপ-মহাপরিচালক জিয়াংচেন ঝং এবং সিএমএ সিজিএম এশিয়া প্যাসিফিক লিমিটেডের সিইও লরেন্ট ওলমেটা বক্তব্য রাখেন। সিএনএনের উপস্থাপক ও বিজনেস এডিটর রিচার্ড কোয়েস্ট অধিবেশনটি সঞ্চালনা করেন।
সালমান এফ রহমান বলেন, বর্তমান সরকার চট্টগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দর ও পায়রা বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। দক্ষ জনবল তৈরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে দক্ষ মানবসম্পদ নিশ্চিত করার লক্ষে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কারিকুলাম চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগি করা হচ্ছে।
রাজধানীর যানজটের বিষয়ে উপস্থাপক কোয়েস্টের এক প্রশ্নের উত্তরে সালমান এফ রহমান বলেন, যানজট কমানোর লক্ষ্যে রাজধানীতে মেট্রোরেলের মত যুগান্তকারী প্রকল্প চালু করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ৫ বছর পর আবার এখানে আসেন, তাহলে বর্তমান দুই ঘণ্টার যাত্রায় তখন সময় লাগবে মাত্র ২০ মিনিট।’
সিএনএনের উপস্থাপক রিচার্ড কোয়েস্টের এক প্রশ্নের জবাবে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যবসায়ীরা চায়- সরকার নীতিগত ও লজিস্টিক সহায়তা প্রদান এবং শিল্পায়ন উপযোগি অবকাঠামোগত উন্নয়ন করুক ।
তিনি আরও বলেন,"আমরা আমাদের ট্রিয়িলয়ন ডলারের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করার জন্য মানব সম্পদ ও দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে চাই।’ তিনি আশা প্রকাশ করেন ভবিষ্যতে কোন লাল ফিতার দৌরাত্ব থাকবে না, যাতে ব্যবসায়ীরা অর্থনীতিকে সহজে এগিয়ে নিতে পারে।
জসীম উদ্দিন বলেন, স্বাধীনতার পর দেশের রপ্তানি আয় অনেকটাই পাটের ওপর নির্ভরশীল হলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার পরিবর্তন ঘটেছে। তৈরি পোশাকের দিকে গভীর মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পাট, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং হালকা প্রকৌশল বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তিখাতের বিশাল সুযোগ রয়েছে। তিনি জানান, রপ্তানিকে টেকসই করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে বড় বড় সবুজ কারখানা গড়ে তোলা হচ্ছে।
ডব্লিউটিওর উপ-মহাপরিচালক জিয়াংচেন ঝং বলেন, বাংলাদেশের শিপিং ও লজিস্টিক খাতে উন্নয়নের অনেক সুযোগ রয়েছে এবং অবকাঠামোখাতে বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে অর্থনীতিকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়া যাবে।