শিরোনাম
কুমিল্লা (দক্ষিণ), ২১ এপ্রিল, ২০২৩ (বাসস) : জেলায় শেষ মুহুর্তের কেনাকেটায় এবার ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে আতর টুপি জায়নামাজের দোকানে। কুমিল্লার কান্দিরপাড় এলাকার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দোকানেই কম বেশি ক্রেতা আতর টুপি জায়নামাজ কিনতে ব্যস্ত রয়েছেন।
বিক্রেতারা জানান, তাদের কাছে কয়েক ধরনের টুপি রয়েছে। এর মধ্যে দেশীয় ছাড়াও চায়নিজ, তুর্কি, পাকিস্তানি ভারতীয়, মিসরীয়, আফগানি, গোল টুপি, হাজি টুপি, জালি টুপি অন্যতম। তবে দেশীয় টুপির পাশাপাশি চায়নিজ, তুর্কি, পাকিস্তানি ও ভারতীয় টুপির কদর বেশি। টুপির দাম ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১২শ টাকা পর্যন্ত রয়েছে।
টুপির সাথে বিক্রি হচ্ছে আতর। এর মধ্যে দামি আতর হলো কুল ওয়াটার, গোল্ডেন সেন্ট, সৌদি ব্র্যান্ড মিস ডলার, স্কেপ, ক্লোরাগুচি। এগুলো প্রতি তোলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত। আর শিশি ভেদে দাম ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
আর জায়নামাজ পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে ৫ হাজার টাকায়। বিক্রেতারা জানান, জায়নামাজ কয়েক ধরনের হয়। এর মধ্যে সালমান, আল-মুসলিম, মেহরাব, ই-টেক্স, আইডিন ডাবল প্লাসসহ নানা কোম্পানির জায়নামাজ রয়েছে। সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সাফা টেক্সের জায়নামাজ।
তারা জানান, এগুলো সাধারণত দুই সাইজের হয়। ৮০ বাই ১২০ সেন্টিমিটার এবং ৭০ বাই ১১০ সেন্টিমিটার। আকার ও কাপড় অনুযায়ী দাম কমবেশি হয়। সাধারণ একটি জায়নামাজ ৩০০ টাকা হলেও সাফা টেক্সের জায়নামাজ কিনতে হলে ক্রেতাকে গুনতে হয় তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা। ক্রেতারা জানান, তারা মনে করেন ঈদে সাধরণত প্রধান পোশাক হলো পাঞ্জাবি। আর পাঞ্জাবির সাথে যদি টুপির মিল না থাকে তবে বেমানান মনে হয়। তারপরই সুগন্ধি। ঈদগাতে যেতে আতর না হলে আনন্দ অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই পারিবারিক শপিং শেষ করে এবার নিজেদের শপিংয়ে তারা ব্যস্ত। ইলিয়টগঞ্জ থেকে আসা মুন্সী আনোয়ার পাশা রাসেল বাসসকে জানান, তিনি প্রতি বছরই কান্দিরপাড় এলাকা থেকে টুপি আতর আর প্রয়োজনে জায়নামাজ কিনে থাকেন। ছেলের আর নিজের জন্য আতর টুপি আর জায়নামাজ কিনতে এসেছেন।
মার্কেটের ব্যবসায়ী আলমগীর কবির জানান, টুপি আতরের সাথে অনেকেই তসবিহ ও কিনছেন। তিনি বলেন, বেচাবিক্রি ভালোই হচ্ছে।