শিরোনাম
ঢাকা, ১১ মে, ২০২৩ (বাসস) : রপ্তানিমূখী তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরা পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ করে আগামী ৫ বছর তা কার্যকর রাখার আহবান জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীরা বলেন, এটি করা হলে উদ্যোক্তারা আত্মবিশ্বাসের সাথে মধ্য মেয়াদী ব্যবসায়িক ও বিনিয়োগ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান লিখিত বক্তব্যে এ আহবান জানান।
তিনি বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পের এ্যাসেসমেন্টের সময় কর আরোপকালে অন্যান্য আয়, যেমন-সাব কন্ট্রাক্ট আয় এবং গেইন অন এ্যাসেট ডিসপোজাল এবং বিবিধ খরচকে অগ্রহনযোগ্য হিসেবে গণ্য করে স্বাভাবিক হারে (বিদ্যমান ৩০ শতাংশ) কর আরোপ না করে কর্পোরেট করহার ১২ শতাংশ হারে আরোপ করা হলে ব্যবসায় টিকে থাকা সহজ হবে।
এছাড়া উদ্যোক্তারা রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানিকারকদের এক্সপোর্টার রিটেন কোটা ফান্ড থেকে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য পরিশোধিত ফি হতে উৎসে আয়কর কর্তনের হার ২০ শতাংশ হতে হ্রাস করে ১০ শতাংশ করার অনুরোধ জানান। একইভাবে তারা তৈরি পোশাক রপ্তানিতে নগদ সহায়তার ওপর ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারের দাবি জানান। উদ্যোক্তারা বলেন, যেহেতু নগদ সহায়তা কোন ব্যবসায়িক আয় নয়, তাই নগদ সহায়তার অর্থকে করের আওতার বাইরে রাখাই যুক্তিসংগত।
ফারুক হাসান বলেন, বৈশি^ক বাজারে রপ্তানি বাড়াতে নন-কটন পোশাক রপ্তানি মূল্যের উপর ১০ শতাংশ হারে বিশেষ প্রনোদনা দেন করা জরুরি। এর জন্য তিনি আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ অর্থ বরাদ্দের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, বিশেষ প্রনোদনা দেয়া হলে আমাদের রপ্তানি বাড়বে। নতুন বিনিয়োগ আসবে, কর্মসংস্থান বাড়বে, এর সাথে সংশ্লিষ্ট সেবাখাতে ব্যাপক সুযোগ তৈরি হবে, সর্বোপরি সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ রাজস্ব আহরনের পরিমান বাড়বে।